বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৪:৪৬ অপরাহ্ন
আজকের শিরোনাম
নাটোরের হয়বতপুরে এক গার্মেন্টস শ্রমিকের স্বপ্নভঙ্গ—প্রভাবশালী প্রতারকের ফাঁদে নিঃস্ব মাসুদ রানা পরিবার মধ্য পালশা একতা যুব সংঘ ক্লাবের উদ্যোগে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত শেরপুরে মহান বিজয় দিবস উদযাপনও জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের বিনম্র শ্রদ্ধা জাল কাগজ ও মিথ্যা মামলায় হয়রানির অভিযোগে লোহাগাড়ায় সংবাদ সম্মেলন জিয়া সাংস্কৃতিক সংগঠন বগুড়া জেলা কমিটির উদ্যোগে বিজয় দিবসে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি জাতীয় মানবাধিকার অ্যাসোসিয়েশন বগুড়া জেলা কমিটির উদ্যোগে বিজয় দিবসে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি ভুরুঙ্গামারী সরকারি কলেজে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণী সিরাজগঞ্জ ৩ আসনে বিএনপি’র মনোনয়ন পুনঃ বিবেচনার দাবিতে গণমিছিল  আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন: আমাদের দায়িত্ব ও জনগণের প্রত্যাশা – আরমান হোসেন ডলার লন্ডনে গ্রেটার চট্টগ্রাম এসোসিয়েশন, ইউকে’র উদ্যোগে মহান বিজয় দিবস উদযাপিত

বিচার কোথায়?

রিপোর্টারের নাম / ২৪ বার দেখা হয়েছে
আপডেট: বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই, ২০২৫

লেখক:- মোঃ মাহিদুল হাসান সরকার,সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ সেন্ট্রাল প্রেস ক্লাব (বি.সি.পি.সি), কেন্দ্রীয় কমিটি।

(সাগর-রুনি ও নির্যাতিত সাংবাদিকদের স্মরণে)

সাগর-রুনির রক্ত আজও এই মাটিতে চিৎকার করে,
ভোরের সূর্য জানে—দেয়ালে লেখা অক্ষর জ্বলে।
তবু রাষ্ট্রের চোখে কেন এত অন্ধকার?
কেন নীরবতা শাসায় অন্যায়ের দীর্ঘ সংসার?

১১ ফেব্রুয়ারি ২০১২—
সাগর সরোয়ার ও মেহেরুন রুনি—
স্বামী-স্ত্রী, দুই সাহসী সাংবাদিক—
খুন হলেন রাতে, পেশাদার ঘাতকের নির্ভুল আঘাতে।
এক যুগ পেরিয়ে গেছে—১৩ বছর!
তদন্ত আজও দাঁড়িয়ে আছে পথের ধারে।

১১৯ বার পিছিয়েছে শুনানির তারিখ—
কোনো নির্দয় ক্যালেন্ডারের পাতায় পাতায়।

আমরা বলি—এটা কি ন্যায়ের দেশ?
যেখানে খুনের বিচার শুধু পিছিয়ে চলে?
যেখানে সাংবাদিক মরলেই রাষ্ট্র নির্বাক হয়,
আর আদালত ব্যস্ত থাকে কেবল
“পুনরায় দিন ধার্য” লিখতে লিখতে?

আমরা কি এসেছি কেবল কফিনে নাম লেখাতে?
না কি এসেছি সত্য বলতে গিয়ে প্রতিদিন মরতে?
আমরা সাংবাদিক—কলম আমাদের অস্ত্র।
তবু কেন নোংরা চক্রান্তে,
আমাদের কণ্ঠ চেপে ধরে শাসনের মুষ্টি?

প্রশ্ন জাগে— এই রাষ্ট্র কি রুনিদের অশ্রু ভুলে গেছে?
এই মাটির বিবেক কি মৃত বিবেচনায় পাথর হয়ে গেছে?

না! আমরা চুপ থাকব না।

আমরা চাই—একদিন সেই আদালত কাঁপুক,
যেদিন রাজার মুকুট খসে পড়বে, যেদিন হবে বিচার—প্রকাশ্যে, নির্ভীক উচ্চারণে।

আজও জ্বলছে আগুন—
সাগর-রুনির,জামালপুরে নাদিম,গাইবান্ধার ফরিদুল ইসলাম রঞ্জু,বগুড়ার শেরপুরের দীপঙ্কর চক্রবর্তী—
সব নির্যাতিত, নিপীড়িত কণ্ঠের আগুন।

এই আগুন নিভবে না, যতক্ষণ না—সত্য পাবে আলো, অন্যায় পাবে জবাব।

তাই বলি—আমরা সাংবাদিক মরতে আসিনি,
আমরা এসেছি লিখতে—রক্ত দিয়ে ইতিহাস।
আমরা এসেছি প্রতিবাদের আগুনে—জ্বালাতে অন্যায়, কর্পুরের মতো নিশ্বাস!


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর