
৩৬ জুলাই গণঅভ্যুত্থান বর্ষপূতি উপলক্ষে গত কাল বিকেলে আমতলী পৌরসভায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এবং জামায়াতে ইসলামীর একটি সমাবেশ ও মিছিল কর্মসূচির আয়োজন করা হয়ে ছিলো।আয়োজিত মিছিল শেষে সন্ধ্যায় আমতলী থেকে বাড়ি ফেরার পথে কুয়াকাটা মহাসড়কে উশ্সিতলা নামক স্থানে, ছন্দা নামক বাসচাপায় মাওলানা মোঃ রেজাউল আনুমানিক (৩৫) নামে এক প্রভাষক নিহত হয়েছেন। তিনি গুলিশাখালী ইউনিয়ন শাখার সাধারণ সম্পাদক এবং আমতলী বন্দর হোসাইনিয়া কামিল মাদ্রাসার আইসিটি বিভাগের প্রভাষক ছিলেন।
দুর্ঘটনার খবর ছড়িয়ে পরায় ইসলামী আন্দোলনের নেতাকর্মীরা নিহতের মরদেহ নিয়ে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন। এতে ঘটনাস্থলের দুই পাশে প্রায় পাঁচ থেকে ছয় কিলোমিটার দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়।পরবর্তীতে বাসচালকসহ তিনজনকে গ্রেপ্তারের খবরে সড়ক অবরোধ তুলে নেয়া হয় পরবর্তীতে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়ে যায়।ইসলামী আন্দোলনের সিনিয়ার নেতৃবৃন্দরা দাবি জানান,,বাস এবং আটককৃতদের বিচারের আওতায় আনতে দ্রুত আমতলী থানায় নিয়ে আসতে হবে, বাসের মালিককেও আসতে হবে এবং এ ঘটনায় ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। তা না হলে প্রয়োজনে আবারও সড়ক অবরোধ করা হবে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মিছিল শেষে মোটরসাইকেলে করে ডালাচারা গ্রামে নিজ বাড়িতে ফেরার পথে ছন্দা পরিবহনের কুয়াকাটাগামী একটি যাত্রীবাহী বাস প্রভাষক রেজাউলের মোটরসাইকেলটিকে চাপা দেয়। ঘটনাস্থলেই তিনি নিহত হন
নিহত প্রভাষক রেজাউলের কর্মস্থল আমতলী বন্দর হোসাইনিয়া কামিল মাদ্রাসা,,এই প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ মাওলানা মোঃ ইউনুচ হাওলাদার বলেন,রেজাউল স্যার ছিলেন একজন নিষ্ঠাবান ও দায়িত্বশীল শিক্ষক। তাঁর অকাল মৃত্যুতে আমারা গভীরভাবে শোকাহত যা ভাষায় প্রকাশ করার মতো না,,যাহা আমার শিক্ষকদের মধ্য থেকে একটা বড় সম্পদ হারিয়ে ফেলেছি। আমরা ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ আমতলী উপজেলা শাখার সভাপতি মাওলানা ওমর ফারুক বলেন, মিছিল শেষে রেজাউল বাড়িতে ফিরতে গিয়ে সড়কে বাসের চাপায় মর্মান্তিকভাবে নিহত হয়েছেন।তবে এই মর্মান্তিক ঘটনার দায়ে চালকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি।
এ বিষয়ে আমতলী থানার (ওসি) দেওয়ান জগলুল হাসান বলেন, সড়কে দুর্ঘটনার খবর পেয়েই দ্রুত সময়ের মধ্যে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছিলাম। পরবর্তীতে ঘাতক বাসটিকে আটক করতে মহিপুর এবং কালপাড়া থানা পুলিশকে অবহিত করলে মহিপুর থানা পুলিশ বাস ও চালক, সহ তিন জন কে আটক করতে সক্ষম হয়েছে।আটক এর খবর পেয়েই ইসলামী আন্দোলন নেতাকর্মীরা রাস্তার অবরোধ তুলে নেন যার ফলে তখনই রাস্তার যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়ে যায়। আটকদের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।