শেরপুরে আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাড. চন্দন কুমার পালের জামিনকে ঘিরে ফেসবুকে অপপ্রচারের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন রাষ্ট্রপক্ষের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ও শহর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাড. আব্দুল মান্নান। বুধবার (১ অক্টোবর) রাতে শেরপুর প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘আমি রাষ্ট্রপক্ষের পিপি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছি।
বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় আসামি চন্দন পালের জামিন শুনানিতে আমি কঠোর ভাবে বিরোধিতা করেছি। তবে আদালত স্বাধীনভাবে তাকে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দেন। এখানে আমার কোনো ব্যক্তিগত প্রভাব নেই।’ তিনি অভিযোগ করেন, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে একটি মহল ফেসবুকের ভুয়া আইডি ও পেজ থেকে মিথ্যা তথ্য ছড়াচ্ছে। এতে বিচার প্রক্রিয়াকে বিকৃতভাবে উপস্থাপন করে আমার ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার চেষ্টা চলছে। এই জন্য আমি সদর থানায় সাধারণ ডায়েরি ও করেছি।
পিপি মান্নান আরও বলেন, এক বছর ধরে চন্দন পাল জজকোর্ট থেকে জামিন না পেয়ে হাইকোর্ট থেকে জামিন নিয়েছেন। অথচ অপপ্রচারে বলা হচ্ছে আমি নাকি তাকে সুবিধা দিয়েছি। এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা। সংবাদ সম্মেলনে সদর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আলহাজ হযরত আলী বলেন, চন্দন পালের জামিন নিয়ে যে অপপ্রচার চলছে তা রাজনৈতিক প্রতিহিংসার অংশ। আদালতের দেয়া জামিন নিয়ে কারো ব্যক্তিগত সম্পৃক্ততা নেই। অথচ ষড়যন্ত্রমূলক ভাবে বিএনপিকে জড়িয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে। আমরা এসব গুজবের নিন্দা জানাই এবং দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি করছি। উল্লেখ্য যে, আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. চন্দন কুমার পাল বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন ও হত্যা মামলাসহ ৭টি মামলার আসামি।
গত ৯ সেপ্টেম্বর তিনি হাইকোর্টের আদেশে শেরপুর জেল হাজত থেকে মুক্তি পান। তবে একই দিন বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় আবারও গ্রেপ্তার হন। পরবর্তীতে ২৮ সেপ্টেম্বর জামিন পেয়ে তিনি মুক্তি পান। এর পর থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাকে ঘিরে নানা সংবাদ ছড়িয়ে পড়ে।