মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৬:০১ অপরাহ্ন
আজকের শিরোনাম
শেরপুরে মহান বিজয় দিবস উদযাপনও জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের বিনম্র শ্রদ্ধা জাল কাগজ ও মিথ্যা মামলায় হয়রানির অভিযোগে লোহাগাড়ায় সংবাদ সম্মেলন জিয়া সাংস্কৃতিক সংগঠন বগুড়া জেলা কমিটির উদ্যোগে বিজয় দিবসে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি জাতীয় মানবাধিকার অ্যাসোসিয়েশন বগুড়া জেলা কমিটির উদ্যোগে বিজয় দিবসে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি ভুরুঙ্গামারী সরকারি কলেজে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণী সিরাজগঞ্জ ৩ আসনে বিএনপি’র মনোনয়ন পুনঃ বিবেচনার দাবিতে গণমিছিল  আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন: আমাদের দায়িত্ব ও জনগণের প্রত্যাশা – আরমান হোসেন ডলার লন্ডনে গ্রেটার চট্টগ্রাম এসোসিয়েশন, ইউকে’র উদ্যোগে মহান বিজয় দিবস উদযাপিত লালমনিরহাট টিটিসি’র প্রশিক্ষণের পরিবেশ বিনষ্ট করতে উঠেপড়ে লেগেছে গিয়াস উদ্দিন  ভুরুঙ্গামারীতে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা

শেরপুরে আ. লীগ নেতা জামিনে মুক্তি পেয়েই ভারতে পালানোর অভিযোগ

মিজানুর রহমান, শেরপুর জেলা প্রতিনিধি: / ২৬ বার দেখা হয়েছে
আপডেট: বৃহস্পতিবার, ২ অক্টোবর, ২০২৫

মিজানুর রহমান, শেরপুর জেলা প্রতিনিধি:

শেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও গত ১৬ বছরের বেশী সময়ের পিপি, আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি এ্যাড. চন্দন কুমার পাল অতি গোপনীয় ভাবে কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েই ভারতে চলে গেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। জানা যায়, সোমবার ২৯ সেপ্টেম্বর সকাল সাড়ে ৮টার দিকে শেরপুর জেলা কারাগার থেকে মুক্তি পান ওই নেতা। ৩০ সেপ্টেম্বর সকাল হতেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপারটি নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার ঝড় উঠে।

শেরপুর জেলা কারাগার সূত্র জানা যায়, ৫ আগস্টে বৈষম্য বিরোধী আদোলনের মাস্টার মাইন্ড ও হত্যা মামলাসহ ৭ মামলার আসামি এ্যাড. চন্দন কুমার পাল। গত ৯ সেপ্টম্বর উচ্চ আদালতের আদেশে শেরপুর জেলা হাজাত থেকে মুক্তি পান। পরে জেল গেট থেকে ওই দিনই ১৯৭৪ সালে বিশেষ ক্ষমতা আইনের ১ মামলায় পুলিশ চন্দন পালকে আবারো গ্রেপ্তার করে।

২৮ সেপ্টম্বর শেরপুর আদালত থেকে বিশেষ ক্ষমতা আইনে চন্দন কুমার পালের জমিন হলে সোমবার সকালেই তিনি মুক্তি পান। নিশ্চিত করেছেন শেরপুর জেলা কারাগারের জেলার আব্দুস সেলিম। জামিনের বিষয়টি মঙ্গলবার জানাজানি হলে ব্যাপক সমালোচনার ঝড় উঠে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও এ নিয়ে অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করছেন।

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের নেতারাও ক্ষোভ প্রকাশ করছেন। তারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লিখেছেন, জামিন দেয়া বিচারকের বিরুদ্ধে প্রধান উপদেষ্টার কাছে স্মারক লিপি জমা দিবেন। যেসব আইনজীবী এই খুনির পক্ষে সাফাই গেয়েছেন তাদেরকেও জবাবদিহির আওতায় আনা হবে। এনসিপির সাবেক জেলা সমন্বয়ক মামুনুর রশিদ বলেন, ছাত্র জনতার আন্দোলনে হামলার অন্যতম মাস্টারমাইন্ড ও হত্যা মামলাসহ ৭টি মামলার আসামি, হাসিনা সরকারের দোসর ফ্যাসিস্ট চন্দন কুমার পাল কিভাবে জামিন পেলেন। তার পক্ষে যেসব আইনজীবী সাফাই গেয়েছেন তাদের বিবেক গত ১৭ বছর ফ্যাসিবাদী আমলে মৃত ছিল।

গত ১৬ টি বছর সে পিপি পদে থেকে ভিন্নমতের লোকদের কত জুলুম, মামলা দিয়ে কারাগারে রেখেছেন তা হয়তো অনেকেই ভুলে গেছেন। আমরা যতটুকু খবর পেয়েছি, তিনি ইতিমধ্যে ভারতে চলে গেছেন।

যারা এই খুনির সাফাই আদালতে করেছেন। তাদেরও একদিন বিচারের মুখোমুখি হতে হবে। কিভাবে আওয়ামী লীগের এই হেভিওয়েট নেতা যিনি জুলাই আন্দোলন ঠেকাতে মাস্টারমাইন্ড ছিলেন। তাকে জামিনে সহায়তা যারা করেছেন! আসলে তারা কিভাবে বিবেককে বিসর্জন দিয়ে এমন কাজ করেছে তা আমার বোধগম্য নয়। এমন অপরাধীরা কেনো জানি দ্রুত জামিনে বের হয়ে যাচ্ছে। তারা জামিনে ছাড়া পেয়ে বাইরে এসে আবারও অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করবে।

শেরপুর জেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা হাফিজুর রহমান সাংবাকিদের বলেন, বিগত দেড় দশকের বেশি সময় এ্যাড. চন্দন কুমার পিপি থাকাবস্থায় ভিন্নমতের মানুষদের এমন কোন জুলুম নেই। যা তিনি আদালতের মাধ্যমে তা ভোগ করিয়েছেন। ছাত্র-জনতার আন্দোলন ঠেকাতে তিনি নেতৃত্ব দিয়েছেন।

এমন একজন প্রকাশ্য অপরাধীর জামিনের সাথে নিশ্চয়ই কোন মহল জড়িত। নতুন স্বাধীন বাংলাদেশে তাদের মুখ উন্মোচন জরুরি। তাদেরকেও জনগণের কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে হবে। জেলা বিএনপির আহবায়ক এ্যাড. সিরাজুল ইসলাম বলেন, শুনেছি কিন্ত কিভাবে হলো জানি না।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর