গারো পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত শেরপুর জেলার শ্রীবরদী উপজেলার ভেলুয়া ইউনিয়নের চরহাবর গ্রামের এক মুসলিম পরিবারে ১৫ জুন ১৯৮৪ সালে জন্মগ্রহণ করেন আতিকুর রহমান (শাহীন) ।
পিতা মৃত আলী আহমেদ এবং মাতা মোছা: লুৎফুন্নাহার এর তিন সন্তানের মধ্যে তিনি মেঝো। আতিকুর রহমান (শাহীন) এর আরও এক ভাই ও এক বোন রয়েছেন। তার এক মেয়ে ও এক ছেলে রয়েছেন। তার সহধর্মিণী একজন শিক্ষিকা।
ছোট থেকেই আতিকুর রহমান (শাহীন) মেধাবী ছাত্র ছিলেন। তিনি শ্রীবরদীর ঝগড়ারচর আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১৯৯৯ সালে মাধ্যমিক পরীক্ষায় ২ টি লেটারসহ প্রথম শ্রেনী পেয়ে উত্তীর্ণ হন এবং জামালপুর সরকারি আশেক মাহমুদ কলেজ থেকে ২০০১ সালে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করে কৃতিত্বের সাথে উত্তীর্ণ হন।
আতিকুর রহমান ২০০১-২০০২ সেশনে বাংলাদেশর সনামধন্য প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিশারিজ ফ্যাকাল্টিতে অনার্সে ভর্তি হন। ২০০৬ সালে অনার্স এবং একই বিশ্ব বিদ্যালয় হতে একুয়াকালচার বিভাগে ২০০৮ সালে মাস্টাস সম্পন্ন করেনন। ২০০৪ সালে বাবাকে হারিয়ে যখন দিশেহারা, তখন সেই কঠিন মুহূতে পরিবারের দায়িত্ব নেন পিতৃ সমতুল্য বড় ভাই আতাউর রহমান (শামীম)। সেই থেকে আজ পযন্ত বড় ভাইয়ের আদর, স্নেহ, শ্বাসন সবসময় আমাকে অনুপ্রাণিত করে।
২০০৮ সালে মাস্টার্স পড়া অবস্থায় ( থিসিস সেমিষ্টারে) প্রথম নিয়োগ পরীক্ষায় ১৫ মে ২০০৮ সালে অফিসার পদে বাংলাদেশ ফায়ার সাভিস ও সিভিল ডিফেন্স বিভাগে যোগদান করেন। বর্তমানে পদোন্নতি পেয়ে সিনিয়র স্টেশন অফিসার হিসেবে ভালুকায় কমরত আছেন।
আতিকুর রহমান বর্তমানে দেশের সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় পদক ফায়ার সার্ভিস ডিফেন্স ও সিভিল ডিফেন্স সেবা পদকে ভূষিত হন।
আতিকুর রহমান বলেন আমার জীবনের সকল সাফল্যের পিছনে আমার মা এবং পিতৃ সমতুল্য বড় ভাই আতাউর রহমানের অবদান আমার মাথার মুকুট হয়ে থাকবে চিরজীবন। আজকের এই পদক আমি তাদের নামেই উৎসগ করছি।
ভালুকা একটি জনবহুল এলাকা। অগ্নিকান্ড ও সড়ক দূঘটনা নিত্য দিনের সংগী। প্রতিটি অপারেশনেই সঠিকভাবে নেতৃত্ব প্রদান করেন। মানুষের জান-মাল রক্ষায় স্বকৃতি স্বরুপ ময়মনসিংহ বিভাগে একবার শ্রেষ্ঠ অফিসার হিসেবে ভূষিত হয়েছেন। প্রতিটি কাজে তার সহধর্মিণী নাঈমা নাসরীন উপমা সব সময়ই অনুপ্রাণিত করেন।
ইতিপূর্বে সরকারি ভাবে বিভিন্ন প্রশিক্ষনের অংশ হিসেবে ২০১৪ মালেশিয়া এবং ২০২৪ সালে চীন সফর করেন।
তারপর অদ্য ৮ অক্টোবর ২০২৫ সালে মহামন্য রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে সিনিয়র সহকারী সচিব আছমা উল হোসনা এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে সাহসিকতা, ঝুকিপূর্ণ ও সেবা মূলক কাজের স্বীকৃতি স্বরুপ দেশের সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় পদক প্রেসিডেন্ট ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সেবা পদকে ভূষিত হন।
আতিকুর রহমান অনেক পরিশ্রম করে অনেক সংগ্রাম করে আজ তিনি গন্তব্যে পৌঁছেছেন।
স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, আতিকুর রহমান (শাহীন) অরাজনৈতিক বিভিন্ন স্বেচ্ছা সেবী সংঘঠনের সাথেও জড়িত রয়েছেন।এবং ৭ অক্টোবর ২০২৪ সালের ভয়াবহ বন্যায় অসহায় পরিবারের মাঝে সাহায্য ও সহযোগিতা করেছেন।