রবিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ০২:৪২ অপরাহ্ন
আজকের শিরোনাম
কমিউনিটি লিডার হিসেবে রাষ্ট্রীয় “প্রবাসী সম্মাননা ২০২৫” পেলেন কাউন্সিলর মোহাম্মদ আয়াছ মিয়া সুদীর্ঘ ১৭ বছর পরে দেশে তারেক রহমান: বিদেশি সংবাদ মাধ্যমের শিরোনামে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ প্রধানমন্ত্রী ডেইলি স্টার,প্রথম আলো অফিসে হামলার প্রতিবাদে তাহিরপুরে সাংবাদিকদের মানববন্ধন বাঘায় সাংবাদিকদের সঙ্গে জামায়াত প্রার্থীর মতবিনিময় শেরপুরে পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ ও অভিভাবক সম্মেলন অনুষ্ঠিত। ভুরুঙ্গামারীতে মেডিকেল কলেজে সুযোগ পাওয়া মেধাবী শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা। বগুড়ার দড়িনন্দগ্রামে নওয়াব আলী এবতেদায়ী মাদ্রাসার বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত। তাহিরপুরে ডেটনেটর উদ্ধারে স্বস্তি, নিরাপত্তা বাহিনীর তৎপরতা। ভুরুঙ্গামারীতে বাস-মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে যুবক নিহত। শেরপুরে সুজনের কমিটি পুনর্গঠন ও পরিকল্পনা সভা।

কমিউনিটি লিডার হিসেবে রাষ্ট্রীয় “প্রবাসী সম্মাননা ২০২৫” পেলেন কাউন্সিলর মোহাম্মদ আয়াছ মিয়া

রিপোর্টারের নাম / ০ বার দেখা হয়েছে
আপডেট: রবিবার, ২৮ ডিসেম্বর, ২০২৫

শ‌হিদুল ইসলাম, প্রতি‌বেদক, সি‌লেট।

যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশ এই দুই দেশের মধ্যে সেতুবন্ধন হিসেবে অসাধারণ অবদান রেখেছেন, তাদের মধ্যে কাউন্সিলর মোহাম্মদ আয়াছ মিয়া উজ্জ্বল একটি নাম। ব্যবসায়ী ও কমিউনিটি লিডার হিসেবে তার সাফল্য যেমন ঈর্ষণীয়, তেমনি সমাজসেবক ও মানবতাবাদী হিসেবে তার অবদান অনুকনরণীয়। যুক্তরাজ্যের মাটিতে বাংলাদেশি ঐতিহ্যকে প্রতিষ্ঠিত করা থেকে শুরু করে মাতৃভূমিতে শিক্ষা ও  সমাজসেবা সম্প্রসারণ সর্বত্র তার উপস্থিতি মানবকল্যাণের প্রতীক।

যুক্তরাজ্যে সফল ব্যবসায়ী, উদ্যোক্তা ও সমাজসেবীর ভূমিকা পালন করা কাউন্সিলর মোহাম্মদ আয়াছ মিয়া “প্রবাসী সম্মাননা ২০২৫” অর্জন করেছেন। এটি শুধু তার পেশাগত সফলতার স্বীকৃতি নয়, বরং প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নেতৃত্ব, অধিকার আদায় এবং সামাজিক উন্নয়নে তার অবদানের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি।

প্রবাসী সম্মাননা ২০২৫ প্রাপ্ত এই কমিউনিটি লিডার প্রমাণ করেছেন যে দৃঢ়সংকল্প, আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতা, প্রশাসনিক দক্ষতা এবং গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ মিলিয়ে একজন মানুষ তার সমাজ ও দেশের উন্নয়নে কতটা প্রভাবশালী হতে পারে। কাউন্সিলর মোহাম্মদ আয়াছ মিয়া আমাদের সকলের জন্য অনুপ্রেরণা: সীমাবদ্ধতা নয়, সাহস, পরিশ্রম ও প্রতিশ্রুতি নিয়েই গড়ে ওঠে নেতৃত্ব।

প্রবাসী রেমিট্যান্সযোদ্ধাদের অবদানের স্বীকৃতি দিতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অবস্থানরত সিলেট জেলার ১০৩ প্রবাসী বাংলাদেশিকে সম্মাননা দিয়েছে জেলা প্রশাসন। রবিবার বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তাদেরকে সম্মানিত করা হয়। দিনব্যাপী অনুষ্ঠানে ছিল বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা, সম্মাননা প্রদান ও সেমিনার। সম্মাননা প্রদানের ৬ ক্যাটাগরির মধ্যে ছিল- সফল পেশাজীবী, ব্যবসায়ী, কমিউনিটি নেতা, নারী উদ্যোক্তা, খেলাধুলায় সাফল্য অর্জনকারী ও বাংলাদেশি পণ্য আমদানিতে ভূমিকা রাখা।

সম্মাননা প্রদানের লক্ষ্যে এই ৬ ক্যাটাগরিতে প্রবাসীদের কাছ থেকে আবেদন ও জীবনবৃত্তান্ত আহ্বান করে সিলেট জেলা প্রশাসন। এরপর বাছাই করা হয় ১০৩ প্রবাসীকে। সম্মাননা প্রদান উপলক্ষে গতকাল রবিবার সকাল ১০টায় কিনব্রিজের উত্তরপ্রান্ত থেকে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের হয়ে নগরীর রিকাবিবাজারস্থ কবি নজরুল অডিটোরিয়ামে গিয়ে শেষ হয়। পরে অডিটোরিয়ামে প্রবাসীদের সংবর্ধনা প্রদান ও সম্মাননা স্মারক তুলে দেওয়া হয়।

অনুষ্ঠানটির সভাপতিত্ব করেন সিলেট জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. সরওয়ার আলম। সফলভাবে বাস্তবায়ন করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এডিসি) মাসুদ রানা। প্রধান অতিথি ছিলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রনালয়ের সচিব আব্দুন নাসের খান।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, নিরাপদ বিনিয়োগের জন্য সিলেটে এনআরবি বিনিয়োগ জোন হতে পারে। পাশাপাশি সিলেটে একটি এনআরবি স্মার্ট সিটি গড়ে তোলার আহ্বান জানান তিনি।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিভাগীয় কমিশনার খান মো. রেজা উন নবী, পুলিশ কমিশনার আব্দুল কুদ্দুছ চৌধুরী ও পুলিশ সুপার কাজী আখতারুল আলম। সন্ধ্যায় প্রবাসীদের বিনিয়োগ সম্ভাবনা নিয়ে সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

শিক্ষা জীবন

GCSE:Tower Hamlets Collage, London, A.Level : Tower Hamlets Collage, London, BTEQ: Diploma In Accounting: Tower Hamlets Collage, London, BA (HONS) in Accounting & Finace : from South Bank University, London, M.A.A.T : Financial Training Center-UK (FTC), F.C.C.A : London, UK কাউন্সিলর মো. আয়াছ মিয়া দেওকলস দ্বি-পাক্ষিক উচ্চ বিদ্যালয় থেকে প্রথম শ্রেণীতে স্টার মার্ক সহ কৃতিত্বের সাথে এস.এস.সি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন এবং বিশ্বনাথ কলেজে অধ্যয়নরত অবস্থায় যুক্তরাজ্য গমন করেন। যুক্তরাজ্য যাওয়ার পর কাউন্সিলর মো. আয়াছ মিয়া একাউন্টিং এবং ফাইন্যান্স (হিসাব বিজ্ঞান) জগতে সর্বোচ্চ ডিগ্রী অত্যন্ত কৃতিত্বের সাথে লাভ করার পর সাথে সাথে নিজস্ব প্র্যাকটিস শুরু করেন। সাধারণত ব্রিটেন বা ইউরোপে নিজস্ব প্র্যাকটিস শুরু করতে হলে চার্টার্ড একাউন্টেন্ট শেষ করার পর তিন বছর অন্য একজন চার্টার্ড একাউন্টের অধীনে সম্পূর্ণ সময় কাজের অভিজ্ঞতা অর্জন করতে হয়।

ব্যবসা বা পেশাগত জীবন :

কাউন্সিলর মোহাম্মদ আয়াছ মিয়া পড়া-লেখাকালীন সময়ে এই অভিজ্ঞতা অর্জন করেন। ফলে এই তিন বছরের অভিজ্ঞতার প্রয়োজন পড়েনা। তিনি ২৮ বৎসর বয়সে নিজস্ব প্র্যাকটিস শুরু করেন। যেটা ব্রিটেনের মত জায়গায় খুব সংখ্যক কম দেখা যায়। অতএব এই জায়গায় যেতে হলে ৩৫ বৎসর বয়স লাগে এবং এর ফলে বাংলাদেশী কমিউনিটিতে সর্বনিম্ন বয়সে চার্টার্ড একাউন্টিং হওয়ার গৌরব অর্জন করায় ব্রিটেনে বহুল প্রচারিত চ্যানেল এস (বাংলা টিভি চ্যানেল) কর্তৃক আয়োজিত কমিউনিটি এ্যাওয়ার্ড সম্মানে ভূষিত হন বিশ্বনাথের কৃতিসন্তান কাউন্সিলর মো. আয়াছ মিয়া। অত্যন্ত কম সময়ে একাউন্টিং সার্ভিস প্রদান করায় ব্রিটেনে ফাইন্যান্স এবং বিজনেস জগতে অল্প দিনের মধ্যেই খ্যাতি অর্জন করেন। তিনি একাউন্টিং প্র্যাকটিসে যে সমস্ত সার্ভিস দেওয়া হয়, তা হলো-Accounts, Audit, Bookkeeping, Payroll, VAT Return, Tax Return, (Self-Assessment) Taxation, Sole Trader, P/ship, Ltd co’s A/C, Management Accounts, Tax Planning, Financial Advice, Business Start-up Advice, Tax & VAT Investigation, Budget, Cashflow Forecast, Business Plan, Company Formation, CT-600 Return, ETC. বাংলাদেশী, ভারতীয়, পাকিস্তানি, ইংরেজ সহ কমিউনিটির বিভিন্ন স্তরের ব্যবসায়ীরা তার সেবা গ্রহন করে থাকে।

অত্যন্ত সততা ও দক্ষতার সাথে সেবা প্রদান করার উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি অর্জন করেন। টাকা অর্জনের চেয়ে সেবা প্রদান করাই তার কাছে সবচেয়ে প্রিয় মনে হয়। অন্যান একাউন্টেন্টের চেয়ে অল্প দিনে বেশী গ্রাহক পেয়েছেন। বিভিন্ন ব্যবসা ছাড়া ও কমিউনিটি Based অর্গানাইজেশন যেমন : চ্যারেটি, মসজিদ, কমিউনিটি স্কুল, কমিউনিটি সেন্টার, ইমামদেরকে অত্যন্ত স্বল্প মূল্যে সেবা প্রদান করে থাকেন। বর্তমানে তার প্রতিষ্ঠিত ফার্মে (Firm) 20 জন দেশ বিদেশের স্বনামধন্য একাউন্টেন্ট কাজ করে থাকেন। পূর্ব লন্ডনের Stepney Green এলাকায় তার প্রতিষ্ঠিত ফার্মটি। ফার্মের নাম হল AM ACCUNTANCY SERVICES এবং এর বাহিরে আরো দুটি Accountancy Firms and 6 other businesses আছে। পেশাগত সেবার ক্ষেত্রে তিনি একজন সফল পেশাদার পরিষেবা প্রদানকারী, যুক্তরাজ্যে ৩টি অ্যাকাউন্টেন্সি ফার্ম পরিচালনা করেন এবং তিনি কর্নধার, যেখানে দেশ বিদেশের ২০ জন একাউন্টেন্ট চাকরি করেন, যেখানে হাজার ব্যাবসায়িদের সেবা প্রদান করেন । ২০০৬ সালে একজন সফল পেশাদার ব্যক্তি হিসেবে চ্যানেল এস ইউকে কমিউনিটি পুরস্কার লাভ করেন। বিলাতে তিনি একজন সফল ব্যবসায়ী, তার রয়েছে একাধিক ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান।

সামাজিক জীবন

কর্মজীবনে অত্যন্ত ব্যস্থতার মাঝেও তিনি সমাজ সেবামূলক কাজে নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন। ব্রিটেনে অবস্থিত সামাজিক সংগঠন গুলোতে তিনি জড়িত রয়েছেন। (১) বর্তমানে তিনি বিশ্বনাথ এইড ইউকের সহ-সভাপতি, (২) হিউম্যান রাইটস এন্ড পিস্ ফর বাংলাদেশ এর ইউকে শাখার জেনারেল সেক্রেটারী। (৩) এছাড়াও তিনি ওয়ান পাউন্ড হসপিটাল (বিশ্বনাথ) এর সাধারণ সম্পাদক এবং অর্থ পরিচালক, (৪) ব্রিটিশ বাংলাদেশি ফার্স্ট সিটিজেন এলায়েন্স (ব্রিটিশ বাংলাদেশি মেয়র অ্যাসোসিয়েশন) এর মহাসচিব। (৫) তিনি ব্রিটিশ বাংলাদেশী চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট ক্লাব, যুক্তরাজ্যের উপদেষ্টা হিসাবে দায়ীত্বে ছিলেন। (৬) এছাড়াও তিনি মানবিক সংগঠন সিলেট-চট্টগ্রাম ফ্রেন্ডশিপ ফাউন্ডেশনের সম্মানিত উপদেষ্টা  (৭) বেঙ্গল ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস কাউন্সিলের সম্মানিত উপদেষ্টার দায়িত্বে আছেন এবং বিশ্বনাথ প্রবাসী এডুকেশন ট্রাস্টের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। (৯) এছাড়া Ocean Business Association এর চেয়ারপার্সন হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। (১০) তিনি দশঘর প্রবাসী সোসাইটির উপদেষ্ঠা ছিলেন। (১১) বর্তমানে দশঘর প্রবাসী ট্রাস্টের ট্রাস্টী ও (১২) মাদানিয়া ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের ট্রাস্টী ও (১৩) ব্রিটিশ বাংলাদেশ চেম্বারস অব কমার্স এর সম্মানিত সদস্য হিসেবে আছেন। (১৪) তিনি বর্তমানে শাহজালাল উপশহর প্রবাসী সমিতির চেয়ারম্যান, যুক্তরাজ্য, এবং (১৫) তিনি সাউথ পপলার ভিক্টম সাপোর্ট গ্রুপ এবং ল্যান্সবেরি এথনিক মাইনরিটি অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব হিসেবে দুই মেয়াদে দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়াও তিনি অন্যান্য স্বেচ্ছাসেবী, ধর্মীয় AND Charitable সংগঠনের সদস্য হিসাবে দায়ীত্বে রয়েছেন।

রাজনৈতিক জীবন

বর্তমানে তিনি ব্রিটেনের মেইন স্ট্রিম রাজনীতির সাথে ওতোপ্রোতভাবে জড়িত। ইতিমধ্যে ব্রিটেনের জনপ্রিয় রাজনৈতিক দল লেবার পার্টির টাওয়ার হ্যামলেটস জেলা শাখার অডিটর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এবং পপলার (লন্ডন) নির্বাচনী এলাকার মেম্বারশীপ সেক্রেটারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। লেবার পার্টিতে তার অবদান জনগণের সাথে সম্পৃক্ততা, কমিউনিটির সাথে অত্যন্ত ভাল সম্পর্ক এবং তার নিজস্ব যোগ্যতা, দক্ষতা, নিষ্ঠা থাকায় টাওয়ার হ্যামলেটস স্টেপনী গ্ৰীণ এলাকা থেকে স্থানীয় নির্বাচনে অনেক প্রার্থী থাকা সত্ত্বেও তাকে লেবার পার্টি থেকে মনোনয়ন দেওয়া হয়। ব্রিটেনের স্থানীয় নির্বাচনে সারা দেশে লেবার পার্টির জয়জয়কার হয়। অধিকাংশ কাউন্সলের বিজয় অর্জন করেছে দেশটির বামপন্থী এই দলটি। তবে সবচেয়ে ব্যতিক্রমে ছিল টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিল। এখানে সকল রেকর্ড ভেঙ্গে বিভিন্ন ওয়ার্ডে পরাজয় বরণ করতে হয়েছে টাওয়ার হ্যামলেটস লেবার পার্টির শীর্ষস্থানীয় নেতৃবৃন্দকে। প্রথম সারির অধিকাংশ নেতারা যখন ২২ মে ২০১৪ সালের নির্বাচনে খালি হাতে ঘরে ফিরেছিলেন, তখন সেন্ট ডানস্টন ওয়ার্ড থেকে প্রথমবারের মতো লেবার পার্টির হয়ে কাউন্সিলর হিসেবে নির্বাচিত হয়ে চমক দেখান তরুণ রাজনীতিবিদ আয়াছ মিয়া। মাত্র চার বছর আগে লোবার পার্টির রাজনীতিতে সক্রিয় হয়ে উঠা আয়াছ মিয়া পার্টির জন্য নীরবে কাজ করেছেন দীর্ঘদিন।

টাওয়ার হ্যামলেটস লেবারের দুর্দিনে বিজয়ী হয়ে আসতে পারায় পার্টি তাকে মূল্যায়ন করতে শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায় তাকে টাওয়ার হ্যামলেটস লেবারের মিডিয়া এবং কমিউনিকেশন অফিসারের দায়িত্ব প্রদান করা হয়। টাওয়ার হ্যামলেটস লেবার গ্রুপের আট জনের এক্সিকিউটিব কমিটির এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদ। এরপর গত কাউন্সিলের বাজেট অধিবেশনে লেবার পার্টির পক্ষ থেকে তিনি বাজেট পেশ করেন। ২০১৪-২০১৫ সালে তিনি স্থানীয় লেবার পার্টির বাজেট স্পুকম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া কাউন্সিলের বিভিন্ন কমিটিতে তিনি সক্রিয় দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। যুক্তরাজ্য লেবার পার্টি নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিবর্গের সাথে তাঁর অত্যন্ত সু-সম্পর্ক রয়েছে। ২০১৫ সালের উপ-নির্বাচনে লেবার পার্টির মেয়র জন বিগস্ নির্বাচিত হন এবং তিনি ৯ সদস্য বিশিষ্ট একটি শক্তিশালী কেবিনেট গঠন করেন। ঐ কেবিনেটে মো. আয়াছ মিয়াকে পরিবেশ ও পরিবহন কেবিনেট সদস্য হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। কেবিনেট সদস্য হিসেবে তিনি যে সকল দায়িত্বে ছিলেন (1) Transport and passengers service (2) Ground maintenance (3) Highway and road safety (4) Cycle safety (5) Trading standards (6) Street lighting ( 7 ) Parking and mobility (8) Licensing ( 9 ) Project 2018 (10) Development compliance and commissioning (11) Air quality (12) Street cleansing (13) Recycling and waste disposal.

তার বাজেট ছিলো বৎসরে ৫৬ মিলিয়ন পাউন্ড। কেবিনেট সদস্য হিসেবে সংসদের মতো প্রতিটি অধিবেশনে তিনি বিভিন্ন কাউন্সিলরদের প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন এবং বিল উত্তাপন করেছেন। অতিরিক্ত বাজেট প্রনয়ণের মাধ্যমে উপরুক্ত সার্ভিসগুলোকে আরো উন্নত করেছেন। লন্ডনের অন্যান্য কাউন্সিলে টাওয়ার হ্যামলেটস এর প্রতিনিধিত্ব করেছেন। লন্ডন মেয়র সাদিক খানের সিটি হলের পরিবেশ ও বায়ু দূষণ উন্নয়নে বিভিন্ন কমিটির মিটিং এ অংশগ্রহন করেছেন। টাওয়ার হ্যামলেটসের বায়ূ দূষণ থেকে পরিত্রাণ পেতে সিটি হল থেকে ১মিলিয়ন পাউন্ড আদায় করতে সক্ষম হয়েছেন। করনার সার্ভিস সেবা ৫দিনের পরিবর্তে ৭দিন করতে তিনি যতেষ্ট ভূমিকা রেখেছেন। ১ম বছর কেবিনেট মেম্বার হিসেবে সফলতার স্বাক্ষর রাখায় ২য় বছরে মেয়রের পক্ষ থেকে তাকে অতিরিক্ত বিভাগের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিলো। স্পোর্টস এন্ড ফিজিক্যাল এ্যাকটিভিটিজ এর দায়িত্ব তার উপর অর্পণ করা হয়। ২০১৭ সালে টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলে তাকে ডেপুটি স্পিকার হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। এর সাথে তাকে গর্ভরনেন্স এন্ড ডেমক্রেটিক সার্ভিসের লীড মেম্বার হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। এই দায়িত্বের অন্যতম হলো নির্বাচন কমিশনের নির্বাচন পূর্ববর্তী কাজগুলো সঠিকভাবে হচ্ছে কি না তা তদারকি করা এবং ব্রেকসিটের পরবর্তীতে টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলে কি ধরণের সমস্যা হতে পারে তা চিহ্নিত করে তা থেকে পরিত্রাণের লক্ষ্যে সর্বদলীয় কাউন্সিলর ও বিভিন্ন বিভাগের ডাইরেক্টরদের নিয়ে কমিটি করে একাধিক মিটিং করার মাধ্যমে একটি প্রতিবেদন তৈরী করা। ঐ সকল মিটিং এ লীড মেম্বার হিসেবে তিনি সভাপতিত্ব করেন।

ইতিমধ্যে কাউন্সিলর হিসেবে তিনি যে সকল দায়িত্ব পালন করেছেন তা হলো-

He has served in varieties of council committees, including vice chair and committee member of Audit Committee, Member of Pension committee, General Purpose Committee, Development committee, Grant Scrutiny committee, Over view and Scrutiny committee, Standard (Advisory) Committee, Human Resources committee, King George’s Field Charity Board, Stepney Relief in need Charity and member of Tower Hamlets community Transport, Ocean Regeneration Trust Board and London councils Transport and Environment committee.

২০১৮ সালের স্থানীয় নির্বাচনে ১২জন প্রতিদ্বন্ধীতাকারী থাকা সত্ত্বেও বিপুল ভোটে (সর্বোচ্চ) তিনি পুনরায় কাউন্সিলর নির্বাচিত হন। এরপর সর্বসম্মতিক্রমে বিনা প্রতিদ্বন্ধীতায় কাউন্সিলের সর্বোচ্চ পদ স্পিকার (সিবিক মেয়র) হিসেবে তিনি নির্বাচিত হন। স্পিকারের দায়িত্ব পাওয়ার সাথে সাথে টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলে তিনি ফাস্ট সিটিজেন হিসেবে নির্বাচিত হন। প্রতিটি কাউন্সিলে দুটি দিক থাকে। একটি সিভিক অন্যটি প্রশাসনিক। সিভিক সাইটের প্রধান হিসেবে স্পিকার সর্বদায় বিবেচ্ছ হন। তার দায়িত্ব হলো কাউন্সিলের প্রতিটি অধিবেশনে সভাপতিত্ব করা। প্রতিটি অধিবেশন যাতে সুন্দর ও সঠিক ভাবে চলে এবং সকল দলের কাউন্সিলররা যাতে অধিবেশনের আলোচনায় যাতে অংশগ্রহন করে নিজ নিজ মতামত ব্যক্ত করতে পারেন তা নিশ্চিত করা। বিভিন্ন কাউন্সিলে টাওয়ার হ্যামলেটস’র এম্বেসেডর হিসেবে প্রতিনিধিত্ব করা। টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলকে প্রমোট করা। বিদেশী ভিআইপি অতিথিদেরকে (মন্ত্রী, এমপি ও মেয়র) স্বাগত জানানো এবং তাদেরকে নিয়ে মতবিনিময় করা। বিভিন্ন দেশ থেকে আগত জাহাজ ও নৌ-বাহিনীদেরকে স্বাগত জানানো। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে কাউন্সিলের প্রতিনিধিত্ব করা। ব্রিটিশ সিটিজেনশীপ প্রাপ্তদের হোম অফিস থেকে যে সার্টিফিকেট দেওয়া হয় তা হস্তান্তর করা। রয়েল ফ্যামেলী থেকে আগত অতিথিদেরকে অভ্যর্থনা জানানো ইত্যাদি।

একজন স্পিকার হিসেবে তিনি অত্যন্ত সফল ছিলেন এবং তার মেয়াদে ৫০০ টিরও বেশি ইভেন্টে অংশ নিয়েছিলেন এবং বৃহত্তর লন্ডনে এবং আন্তর্জাতিকভাবে স্থানীয়ভাবে টাওয়ার হ্যামলেটের প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন এবং তিনি তার নির্বাচিত দাতব্য সংস্থার জন্য সর্বাধিক £৫০,০০০ এর বেশি তহবিল সংগ্রহ করতে সক্ষম হয়েছিলেন। ২০২২ সালের স্থানীয় নির্বাচনে আবারও তিনি টানা তৃতীয় মেয়াদে সর্বোচ্চ ভোটে জয়ী হয়েছেন ৷ যদিও লেবার পার্টির মেয়র জয়লাভ করেন নাই এবং অনেক লেবার কাউন্সিলর হেরে গেছেন, কিন্তু তিনি তার সংখ্যাগরিষ্ঠতা বজায় রেখেছেন। তিনি মেয়রের উপদেষ্টা হিসাবেও কাজ করেছিলেন, কাউন্সিলের লিড মেম্বার গভর্নেন্সের জন্য প্রধান সদস্য হিসাবে নিযুক্ত ছিলেন এবং ব্রেক্সিট সম্পর্কে রিপোর্ট সংগ্রহের দায়িত্বপ্রাপ্ত ছিলেন এটি কীভাবে টাওয়ার হ্যামলেটসকে প্রভাবিত করবে এবং তার প্রতিকার নিয়ে কাজ করেছেন।

রাজনৈতিক জীবন, সামাজিক জীবন, ব্যবসায়িক জীবন এবং পারিবারিক জীবন এই সবটিতে তিনি সফল হয়েছেন। তিনি সকলের দোয়া প্রার্থী। যাতে মানুষের সেবা করে যেতে পারেন। অসাধারণ কর্মকান্ডের কঠিন প্রতিযোগীতায় তিনি অভূতপূর্ব সাফল্যের স্বাক্ষর রেখে নিজে ধন্য হয়েছেন, ধন্য করেছেন সিলেটেবাসীকে, সিলেটের কৃতিসন্তান কাউন্সিলর মো. আয়াছ মিয়া ব্যক্তিগত জীবনে খুবই শান্ত, ভদ্র, সৎ ও নির্লোভ পরিচ্ছন্ন প্রকৃতির লোক। তিনি সিলেটের কৃতিসন্তানদের মধ্যে শ্রেষ্ঠতম একজন গুণী ব্যক্তি।

সিলেটে একজন সফল বিনিয়োগকারী:

তিনি সিলেটে বাংলাদেশে উল্লেখযোগ্য বিনিয়োগ করেছেন – এক্সেলসিয়র সিলেটের (জাকারিয়া সিটি- খাদেমনগর) এর পরিচালক ছিলেন। তিনি সিলেটেও আবাসিক ভবন তৈরি করেছেন এবং বিশ্বনাথ ও আবাসিক ভবন নির্মাণ করেছেন যেখানে অনেক পরিবার স্বল্পমূল্য বাসা ভাড়া দিয়ে থাকেন। তিনি সিলেটেও করদাতা সম্পত্তির আয় থেকে কর পরিশোধ করেন এবং অদূর ভবিষ্যতে সিলেটে আরও বিনিয়োগ করার ইচ্ছা পোষণ করেন।

সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, তিনি একজন মহান কমিউনিটি নেতা – বাংলাদেশি কমিউনিটি এবং এমনকি স্টেপনি লন্ডন এলাকার স্থানীয় কমিউনিটির নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছেন অনেক বছর ধরে সকল সম্প্রদায়ের সর্বোচ্চ ভোটে টানা তিনবার নির্বাচিত কাউন্সিলর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। প্রধান সদস্য, (লিড মেম্বার) কেবিনেট মেম্বার, ডেপুটি স্পিকার ও স্পিকার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন অত্যন্ত দক্ষতার সাথে তিনি ইতোমধ্যে বিভিন্ন পর্যায়ের এওয়ার্ড পেয়েছেন। যেমন লন্ডন নিউহ্যাম ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট থেকে পুরষ্কার, ব্রিটিশ বাংলাদেশি who’s who থেকে পুরষ্কারসহ, SOAS University থেকে কমিউনিটি নেতা হিসেবে পুরষ্কার পেয়েছেন। শুধু তাই নয়, তিনি যুক্তরাজ্যের বাংলাদেশি কমিউনিটির সাথে সক্রিয়ভাবে বিগত ৩০ বছর ধরে জড়িত এবং কাজ করে যাচ্ছেন।

কাউন্সিলর মোহাম্মদ আয়াছ মিয়া বলেন, সিলেট জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আয়োজিত সম্মাননা অনুষ্ঠানে “সফল কমিউনিটি নেতা (Successful Community Leader)” ক্যাটাগরিতে প্রবাসী সম্মাননা–২০২৫ অর্জন করতে পেরে আমি গভীরভাবে কৃতজ্ঞ, সম্মানিত ও গর্বিত বোধ করছি। এছাড়াও যুক্তরাজ্যে বসবাসরত বাংলাদেশি কমিউনিটির প্রতি আমি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। আপনাদের অব্যাহত ভালোবাসা, সহযোগিতা ও সমর্থনই আমার পথচলার প্রধান প্রেরণা ও শক্তি।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর