সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ ও ব্রহ্মগাছা ৩নং ওয়াড মেম্বার মোঃ নূরনবী লাগামহীন অত্যাচার অতিষ্ঠ সাধারণ মানুষের জনজীবন।
গত কয়েক বছরে দুর্নীতির আখড়া, ৪০ দিনের কর্মসূচির কাজ করিয়ে বিল না দেওয়া, রাস্তা মেরামতের টাকা মেরে দেওয়া, বয়স্ক, বিধবা, প্রতিবন্ধী ও গর্ভকালীন ভাতা মেরে খাওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
বিভিন্ন প্রকল্পের নামে রাস্তা ও কালভার্ট ব্রিজ মেরামতের কাজ দেখিয়ে প্রচুর টাকার মালিক হওয়া সহ রয়েছে চাঁদাবাজির অভিযোগ।
বিচারের নামে প্রহসন দেখিয়ে মানুষের কাছ থেকে টাকা নেওয়া। শিশুদের জন্ম নিবন্ধন করতে গেলে টাকা ছাড়া স্বাক্ষর মিলতো না, ওয়ারিশ সার্টিফিকেট নিতে গেলে তাকে দিতে হতো কন্ট্রাকচুয়ালি অর্থ।
স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, নুরনবী রায়গঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদের ডানহাত এবং এমপি পর্যায়ে তার ছিল ওঠাবসা। চাকুরী দেওয়ার নামে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে। চাকরি না পেয়ে টাকা ফেরত চাইতে গেলে বিভিন্ন ধরনের হুমকি দিতো।
জানা যায়, কয়ড়া গ্রামের বাসীন্দা শ্রী মোহোন তার ছেলের চাকুরী জন্য প্রায় ১২লক্ষ টাকা দিয়েছে নুরনবীকে, সেই টাকা আর ফেরত পায়নি।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ ও নূর নবী মেম্বর মিলে শেখ আবুল কাশেম অটিজম ও প্রতিবন্ধী স্কুলে প্রায় কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন চাকরি দেওয়ার নাম করে ।
ব্রহ্মগাছা হিন্দু সম্প্রদায়ের শ্রী মালাকারের পরিবারের ঘর,বাড়ি আবাদী ১৬ বিঘা জমি দখল করে যার আনুমানিক বাজার মূল্য ১৫/১৭ কোটি টাকার বেশি এবং পরিবারটিকে বিতাড়িত করে নূরনবী ও তার বোনের জামাই সাইদুল।
এলাকাবাসী এই সন্ত্রাসীদের হাত থেকে রক্ষা পেতে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।