মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১:০৫ অপরাহ্ন
আজকের শিরোনাম
মধ্য পালশা একতা যুব সংঘ ক্লাবের উদ্যোগে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত শেরপুরে মহান বিজয় দিবস উদযাপনও জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের বিনম্র শ্রদ্ধা জাল কাগজ ও মিথ্যা মামলায় হয়রানির অভিযোগে লোহাগাড়ায় সংবাদ সম্মেলন জিয়া সাংস্কৃতিক সংগঠন বগুড়া জেলা কমিটির উদ্যোগে বিজয় দিবসে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি জাতীয় মানবাধিকার অ্যাসোসিয়েশন বগুড়া জেলা কমিটির উদ্যোগে বিজয় দিবসে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি ভুরুঙ্গামারী সরকারি কলেজে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণী সিরাজগঞ্জ ৩ আসনে বিএনপি’র মনোনয়ন পুনঃ বিবেচনার দাবিতে গণমিছিল  আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন: আমাদের দায়িত্ব ও জনগণের প্রত্যাশা – আরমান হোসেন ডলার লন্ডনে গ্রেটার চট্টগ্রাম এসোসিয়েশন, ইউকে’র উদ্যোগে মহান বিজয় দিবস উদযাপিত লালমনিরহাট টিটিসি’র প্রশিক্ষণের পরিবেশ বিনষ্ট করতে উঠেপড়ে লেগেছে গিয়াস উদ্দিন 

তাড়াশে বিলুপ্তির পথে ঐতিহ্যবাহী খড় ছনের তৈরী কুঁড়ে ঘর

রিপোর্টারের নাম / ১২৫ বার দেখা হয়েছে
আপডেট: মঙ্গলবার, ১২ নভেম্বর, ২০২৪

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধিঃ

সিরাজগঞ্জঃ সিরাজগঞ্জের তাড়াশে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী খড়-কুটো ছনের ছাঊনি দিয়ে তৈরি করা ঘর এখন অনেকটাই বিলুপ্তির পথে। এক সময়ে তাড়াশ উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম গুলোতে বসবাসের প্রধান ঘর হিসেবে ব্যবহৃত হতো কুঁড়ে ঘর। গ্রামের সাধারণ নিম্ন শ্রেণির খেটে খাওয়া মানুষ থেকে শুরু করে মধ্যবিত্ত কিংবা উচ্চ শ্রেণির মানুষেরাও ব্যবহার করতেন খড়-কুটো বা ছনের তৈরী ঘর গুলো। এক সময় গ্রামে সাধারণত কুঁড়ের ঘরের তুলনায় টিনের কিংবা ইটের ঘর তেমন খুঁজেয় পাওয়া যাচ্ছিলো না। খুবই কম ছিলো, কিন্তু আজ তা কালের আবর্তনে সম্পূর্ণ বিপরীত। গ্রামের প্রত্যন্ত অঞ্চলেও কুঁড়ে ঘর এখন চোখে পড়ে খুবই কম। শ্রমজীবী মানুষেরা ধান কাটার পর অবশিষ্ট অংশ দিয়ে নিপুন হস্তে তৈরি করতো এই কুঁড়ে ঘর। ধীরে ধীরে হারিয়ে যাচ্ছে এই ঐতিহ্য।

মানুষের আর্থ সামাজিক অবস্থার উন্নতির সাথে সাথে জীবন মানের ও উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। আর তাই হারিয়ে যেতে বসেছে বাঙালিদের চিরচেনা ঐতিহ্যবাহী এই চিহ্নটি। হয়তো সেই দিন আর বেশি দূরে নয়, খড়ের ছাউনির ঘরের কথা মানুষের মন থেকে চিরতরে হারিয়ে যাবে। আগামী প্রজম্ম রূপ কথার গল্পে এই ঘরকে স্থান দিতে স্বাছন্দবোধ করবে।

আধুনিক সভ্যতায় মানুষ এখন পাকা-আধাপাকা বাড়ি তৈরিতে ব্যস্ত। কুঁড়ে ঘর হিসেবে ব্যবহার করছে টিনকে। তাড়াশে এখন আগের মতো খড়- কুটো ছনের কুঁড়ে ঘর দেখা যাচ্ছে না। ফলে গ্রাম থেকে ছনের ছাউনি কুঁড়ে ঘর ব্যবহার ক্রমশ বিলুপ্তির পথে।

দেশিগ্রাম ইউনিয়নের বাসিন্দা অমল চন্দ্র (৮৫) তার সাথে কথা বলে জানা যায়, গ্রামে খড়-কুটো ছনের কুঁড়ে ঘর তৈরির জন্য কিছু কারিগর ছিলেন। তাদের দৈনিক মজুরি ছিল ১৫০ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত। প্রথমে পুরাতন খড়-কুটো ছনের তুলে নেওয়া হতো। ঘরের নতুন নতুন বাশঁ লাগানো হতো পুরাতন বাশঁ তুলে। তারপর নতুন খড়-কুটো ছন উপরে তোলা হতো। এরপর আগার পাতলা অংশ কেটে সাজিয়ে কয়েকটি ধাপে ছাউনি বাঁধা হতো। তৈরি করা সে খড়-কুটো ছনের কুঁড়ে ঘরে বসবাস করা খুবই আরামদায়ক। ছনের ঘর গ্রীষ্মকালে ঠাণ্ডা ও শীতকালে গরম থাকে। ছনের ঘর তৈরি করার ঘরামি বা মিস্ত্রীর খুব কদর ছিলো বলে জানায়।

উপজেলার পৌর এলাকার মোঃ আমজাদ মোল্লা বলেন, এক সময় সর্বস্তরের থাকার জায়গার উৎসস্থল ছিলো খড়-কুটো কুঁড়ে ঘর। সময়ের পরিবর্তনে দালান কোঠার আড়ালে এখন নিষ্প্রভ খড়-কুটো কুঁড়ে ঘর। ঐতিহ্যের অংশকে আকঁড়ে ধরে রাখতে সকলের এগিয়ে আসতে হবে। খড় কুঠার ঘরের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে সকলকে এগিয়ে আসা প্রয়োজন। তা না হলে একদিন কালের বিবর্তনে খড়-কুটো, ছনের ঘরগুলো জাদুঘরে ঠাঁই নেবে। ঐতিহ্যের অংশকে আকঁড়ে ধরে রাখতে সকলের এগিয়ে আসতে হবে। তবে আবার কেউবা পূর্বপুরুষদের স্মৃতি ধরে রাখতে চাইলে খড়ের ও ছনের ছাউনির কুঁড়ে ঘর টিকিয়ে রাখতে হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর