সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে সংসদ সদস্য আব্দুল মমিন মন্ডলের ব্যক্তিগত সহকারী (এপিএস) সেলিম সরকার ও সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ইউসুফের নেতৃত্বে হামলা ও মারধরে পৌর মেয়র সাজ্জাদুল হক রেজা ও স্থানীয় এক সাংবাদিকসহ আরো ৪জন আহত হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার আলহাজ্ব সিদ্দিকী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এ ঘটনা ঘটে।
বেলকুচি পৌরসভার মেয়র সাজ্জাদুল হক রেজা জানান, বেলকুচি আলহাজ্ব সিদ্দিকী উচ্চ বিদ্যালয়ে রাজশাহী থেকে অডিট এসেছিল। ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হওয়ার সুবাদে তিনিও সেখানে গিয়েছিলেন। দুপুর ২টার দিকে তিন বছর বয়সী ছোট ছেলেকে কোলে নিয়ে একটি মোটরসাইকেলে স্কুল থেকে বের হচ্ছিলেন তিনি। গেটে পৌছার আগেই এমপির এপিএস সেলিম আহমেদ পিস্তল ঠেকিয়ে তাঁর গতিরোধ করে। এরপরই সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ইউসুফ আলী, কাউন্সিলর শিপন ও হাফিজুলের নেতৃত্বে ৫০/৬০জনের একদল ঘটনাস্থলে পৌছে মারধর শুরু করে।
মেয়র আরো বলেন, মারধরে তাঁর চোখের বামপাশে ফেটে যায় এবং তার সাথে থাকা নাবিল ও সাব্বির নামে আরো দুইজন আহত হন। এ ঘটনার ছবি তুলতে গেলে মুসা নামে স্থানীয় এক সাংবাদিককেও মারধর করা হয়। বিষয়টি তাৎক্ষনিক পুলিশকে জানানো হয়েছে। রাজনৈতিক পুর্ব শত্রুতার জেরধরে পরিকল্পিতভাবে এ হামলা চালানো হয়েছে বলে দাবী করেন পৌর মেয়র।
এ বিষয়ে এমপির এপিএস সেলিম সরকার হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, স্কুলের ম্যানেজিং কমিটি গঠন নিয়ে অভিযোগ ওঠায় রাজশাহী থেকে তদন্ত টিম এসেছিল। ওই সময় স্কুলের অভিভাবকরা লিখিতভাবে তাদের মতামত তদন্ত কমিটির কাছে দেন। লিখিত মতামত মেয়রের বিরুদ্ধে যাওয়ায় মেয়র ও তার সাথে থাকা লোকজনের সাথে স্কুলের অভিভাবকসহ আশপাশের লোকজনের সাথে তর্কাতর্কির একপর্যায়ে দুইপক্ষের মধ্যে হাতাহাতি হয়েছে। ঘটনার সাথে আমি বা আমার কোন লোকজন জড়িত নই।
বেলকুচি থানার ওসি আনিসুর রহমান জানান, এমপির এপিএস সেলিম ও সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ইউসুফ আলী এবং পৌর মেয়র রেজার মধ্যে মারধরের ঘটনা ঘটেছে। সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করা হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। মারধরে পৌর মেয়র রেজা আহত হলেও তিনি থানায় কোন লিখিত অভিযোগ দেননি।