শুক্রবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৯:০৯ পূর্বাহ্ন
আজকের শিরোনাম
সৎ মানবাধিকার সংবাদকর্মী বগুড়ার জেলার লতিফুর রহমান আর নেই, বিভিন্ন মানবাধিকার নেতাদের শোক। তাহিরপুরে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে হিন্দু পরিবারের বোরো জমি দখল তাহিরপুর বাদাঘাটে ব্র্যাক ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেটের গ্রাহক সভা অনুষ্ঠিত সুনামগঞ্জের জয়নগর এলাকায় সুরমা নদীতে পুলিশের অভিযানে ভারতীয় অবৈধ ৩১টি গরু এবং নৌকসহ ২জন আটক স্কটল্যান্ডে বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল ড. ওয়ালী তসর উদ্দিন এমবিই হাউস অব লর্ডসে বিশেষ সম্মাননায় ভূষিত কর্ণফুলীতে সন্ত্রাস বিরোধী আইনে যুবলীগ নেতা মোহাম্মদ সালাউদ্দিন গ্রেফতার শেরপুরে অবৈধ ইটভাটায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান: ১৪ লাখ টাকা জরিমানা সুনামগঞ্জ সদর উপজেলায় টি আর ও কাবিখা প্রকল্পে ১৩৫টি উন্নয়ন কাজ বাস্তবায়ন শেরপুরে ব্র্যাকের একসেলারেটেড এডুকেশন মডেল বাস্তবায়নে অভিজ্ঞতা বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত নাটোরের হয়বতপুরে এক গার্মেন্টস শ্রমিকের স্বপ্নভঙ্গ—প্রভাবশালী প্রতারকের ফাঁদে নিঃস্ব মাসুদ রানা পরিবার

সলঙ্গায় প্রতিবন্ধী পুত্রবধু ধর্ষনের শিকার, পুলিশের ‘গড়িমশিতে’ পালালো ধর্ষক শ্বশুড়

নিজস্ব প্রতিবেদক / ২৩০ বার দেখা হয়েছে
আপডেট: শুক্রবার, ২৬ জুলাই, ২০২৪


সিরাজগঞ্জের সলঙ্গা থানার বাসুদেবকোল উত্তরপাড়ায় লম্পট শ্বশুড় আবু সামাদ কর্তৃক নিজের শারীরিক প্রতিবন্ধী পুত্রবধু (১৯) ধর্ষনের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি গত ১৪ জুলাই রাতের। পরিবারের লোকজন ও গ্রামবাসি ঘটনাটি জেনেও কৌশলে তা গোপন রাখেন। ভিকটিমের পক্ষ্য থেকে অভিযোগ দিলেও নথিভুক্ত না করে গড়িমশি ও টালবাহানা করে পুলিশ। গড়িমসির কারনে অবশেষে পালিয়ে যায় ধর্ষক শ্বশুড়।

এদিকে, ঘটনার এগার দিন পর বিষয়টি জানাজানি হলে সংবাদকর্মীদের পক্ষ্য থেকে সলঙ্গা থানার ওসিসহ জেলা পুলিশ সুপারকে জানানো হয়।

শুক্রবার সকালে সলঙ্গা থানার এসআই জাহাঙ্গীর হোসেন সঙ্গীয় ফোর্স ঘটনাস্থল ও ভুক্তভোগী নারীর
বাড়িতে যান। সাংবাদিকরাও সেখানে যান। পুলিশ ও সাংবাদিক যাবার খবরে নিজ ঘর আগেই তালাবদ্ধ করে দ্রুত পালিয়ে যান অভিযুক্ত আবু সামাদ।

ভুক্তভোগী নারী ও তার স্বামী দু’জনেই শারীরিক ও বুদ্ধি প্রতিবন্ধী। গত দু’বছর আগে বিয়ে হলেও ছেলেমেয়ে নেই। এ সুযোগে বার বার ধর্ষনের শিকার হন ভুক্তভোগী।

এদিকে, গত ১৫ জুলাই বাসুদেবকোল উত্তরপাড়ার কতিপয় টাউট ও স্থানীয় ইউপি সদস্য স্থানীয়ভাবে বসেন। দরবার-সালিশ না করেই ভুক্তভোগী নারীকে বাবার বাড়িতে পাঠিয়ে দিয়ে ঘটনাটি ধামাচাপা দেবার চেষ্টা চালায়।

অপরদিকে, সলঙ্গা থানার পুলিশ বিষয়ে জেনেও চেপে যায়। অভিযোগ পেয়েও কৌশলে গড়িমশি করে পুলিশ।

শুক্রবার থানার পাঁচিলা গ্রামে গেলে ভুক্তভোগী নারী জানান, ‘স্বামী হোটেল মেসিয়ারের চাকরী করেন। মাসের বেশীরভাগ সময় তিনি রাতেও হোটেলেই থাকেন। ১৪ জুলাই শ্বাশুড়ি-ননদকেও আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে পাঠিয়ে দেন শ্বশুড়। এরপর রাতে শ্বশুড় আমার ঘরে ঢুকে জোরপূর্বক আমাকে ধর্ষন করেন। এর আগেও তিনি ভয় দেখিয়ে আমাকে ৭/৮ বার ধর্ষন করেছেন। বাধ্য হয়ে ঘটনাটি আমি আমার পরিবারকে জানাই। আমার বাবা ও দুলাভাই এসে গ্রামবাসির কাছে বিচার চাইলেও পাননি।

ভুক্তভোগী ওই নারীর মা জানান, ‘আমার স্বামী ও বড় মেয়ের জামাই গত ১৯ জুলাই স্বশরীরে গিয়ে সলঙ্গা থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়ে আসেন। এক সপ্তাহেও আমলে নেয়নি পুলিশ।’


সলঙ্গা থানার ওসি এনামুল হক শুক্রবার দুপুরে বলেন, দু’জন পুলিশ কর্মকর্তাকে বাসুদেবকোল ও পাঁচিলায় পাঠানো হয়েছিলে। ভুক্তভোগী ওই নারী ও
তার পরিবারের লোকজনের সাথে কথা বললেও ধর্ষনের বিষয়টি কেউই স্বীকার করেনি। বরং ধর্ষনের চেষ্টার কথা বলেছে। তারপরেও ভুক্তভোগীর লিখিত অভিযোগ পেলে
ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

পুলিশ সুপার আরিফুর রহমান মন্ডল দুপুরে সংবাকর্মীদের বলেন, ‘বিষয়টি দেখতে
ওসিকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।’

প্রসঙ্গত: আসামী পক্ষের সাথে সখ্যতা, ঘুষ-বানিজ্য ও মামলা নিতে গড়িমশিসহ নানাবিধ হয়রানীর অভিযোগ রয়েছে সলঙ্গা থানার ওসি এনামুল হকের বিরুদ্ধে। গত বছরের ১৩ আগষ্ট জাতির এক শোক দিবসের দিনে সলঙ্গা থানার হাটিকুমরুল গোলচত্বর এলাকায় শ্রমিকদের ‘ডিজেপার্টির’ নাচগানে যোগদান করে বিতর্কের মধ্যে পড়েন ওসি।

‘ডিজেপার্টির’ যোগদানের ওসি এনামুলের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও ছড়িয়ে
পড়ে। পুলিশ সুপারের নির্দেশে রায়গঞ্জ সার্কেল অফিস থেকে একাধিকার তদন্ত হলেও তার বিরুদ্ধে কোন শাস্তির ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। যেকারনে বেপরোয়া
তিনি।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর