সিরাজগঞ্জের সলঙ্গায় কথিত প্রেমিকা সেজে প্রেমিকের (ফুফাতো ভাই) বাড়িতে অবস্থান করছে বলে অভিযোগ অভিযোগ করছে কথিত প্রেমিকের পরিবার।
মঙ্গলবার সরেজমিনে গিয়ে থানার নাইমুড়ি উত্তর পাড়া গ্রামে গিয়ে দেখা যায় কথিত প্রেমিকা তার ফুফা আক্তার হোসেনের বাড়িতে বিয়ের দাবিতে অবস্থান করছে গত শুক্রবার থেকে।
এদিকে উভয় পক্ষের কোন মিমাংসা না হওয়ায় মঙ্গলবার কথিত প্রেমিক আতিকুলের বাবা আক্তার হোসেন গরু বিক্রির উদ্দেশ্য নাইমুড়ি বাজারে গেলে গরুসহ আক্তার হোসেনকে আটকিয়ে মারপিট করে কথিত প্রেমিকার পরিবারের লোকজন। পরে গরুসহ আক্তার হোসেনকে তার শ্বশুরবাড়ির নাইমুড়ি চকপড়া গ্রামের মানিক উদ্দিনের পরিবার তাদের বাড়িতে নিয়ে যায়।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত আক্তার হোসেন ও একটি গাভীন গরু মানিক উদ্দিনের বাড়িতেই আটকিয়ে রাখেছেন। কথিত প্রেমকিকা মারিয়া খাতুন বিয়ের দাবিতেই তার ফুফাত ভাই চায়না ফেরত এমবিবিএস আতিকুল ইসলামের বাড়িতেই অবস্থান করছে।
আক্তার হোসেনের ছেলে শরিফুল ইসলাম বলেন, আমার মামাত বোনকে দিয়ে আমাদের মিথ্যা হয়রানী করছে। আমার ভাইকে চায়না থেকে পড়ালেখা করিয়ে এনেছি। এখন জোরজরদস্তি করে আমার ভাইয়ের সাথে বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে। সকালে আমার বাবা তার নিজ প্রয়োজনে গরু বিক্রির জন্য হাটে উদ্দেশ্য নাইমুড়ি বাজারে গেলে আমার মামা মানিক উদ্দিন, শফিকুল, রতন মিলে আমাদের গরু ও বাবাকে নিয়ে তাদের বাড়িতে আটক রেখে বিভিন্ন প্রকার হুমকি ধামকি দিচ্ছে আমরা এর বিচার চাই।
আতিকুলের মা রেহানা খাতুন বলেন, আমার স্বামী অসুস্থ্য মানুষ গরু বিক্রি করার উদ্দেশ্য বাড়ি থেকে গরু নিয়ে নাইমুড়ি বাজারে গেলে তারা আমার স্বামীকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যায়। আমার ভাতিজি এসেছে আমাদের বাড়িতে আমার ছেলে পলাতক রয়েছে আমরা ৫ দিন সময় চেয়েছি। কিন্তু তারা সময় না দিয়ে গরু ও আমার স্বামীকে আটক করে রেখেছে।
কথিত প্রেমিকার বাবা মানিক উদ্দিন , ও তার পরিবারের লোকজন জানান, আতিকুলের বাবা আমাদের বোন জামাই আমাদের মেয়ে তাদের বাড়িতে গিয়েছে। বিয়ের আশ্বাস দিয়েছে কিন্ত বিষয়টি সুরাহা না করে তারা পালানোর চেষ্টা করছে । আমার ভাগ্নেরা পলাতক রয়েছে। বোন জামাই (ভগ্নীপতি) ও গরু বিক্রি করে মেয়েটাকে একা রেখে বাড়ির সবাই সটকে পড়ার চিন্তা করেছে। তাই গরু সহ তাকে আমরা বাড়িতে নিয়ে এসেছি যে বিষয়টা সমাধান হোক। তাকে কোন নির্যাতন বা গরু ছিনিয়ে নেওয়ার মত কোন ঘটনা ঘটেনি।
কথিত প্রেমিকা জানান, প্রায় চার বছর হলো আতিকুলের সাথে আমার সম্পর্ক। আমাকে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে আতিকুল বাড়িতে এনেছে। এখন পারিবারিক চাপে আমাকে রেখে পালিয়ে গিয়েছে। আতিকুল বিয়ে না করা পর্যন্ত আমি এখানেই থাকব।
সলঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি এনামুল হক জানান, বিষয়টি আমার জানা নেই, অভিযোগ করলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।