বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ০২:১২ পূর্বাহ্ন
আজকের শিরোনাম
মধ্য পালশা একতা যুব সংঘ ক্লাবের উদ্যোগে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত শেরপুরে মহান বিজয় দিবস উদযাপনও জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের বিনম্র শ্রদ্ধা জাল কাগজ ও মিথ্যা মামলায় হয়রানির অভিযোগে লোহাগাড়ায় সংবাদ সম্মেলন জিয়া সাংস্কৃতিক সংগঠন বগুড়া জেলা কমিটির উদ্যোগে বিজয় দিবসে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি জাতীয় মানবাধিকার অ্যাসোসিয়েশন বগুড়া জেলা কমিটির উদ্যোগে বিজয় দিবসে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি ভুরুঙ্গামারী সরকারি কলেজে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণী সিরাজগঞ্জ ৩ আসনে বিএনপি’র মনোনয়ন পুনঃ বিবেচনার দাবিতে গণমিছিল  আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন: আমাদের দায়িত্ব ও জনগণের প্রত্যাশা – আরমান হোসেন ডলার লন্ডনে গ্রেটার চট্টগ্রাম এসোসিয়েশন, ইউকে’র উদ্যোগে মহান বিজয় দিবস উদযাপিত লালমনিরহাট টিটিসি’র প্রশিক্ষণের পরিবেশ বিনষ্ট করতে উঠেপড়ে লেগেছে গিয়াস উদ্দিন 

সেবাগ্রহীতাকে ঘরে আটকে রেখে মারধর করেন ইউপি চেয়ারম্যান আমিনুল হক

আবুল হোসেন,চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি: / ৮১ বার দেখা হয়েছে
আপডেট: মঙ্গলবার, ৩ ডিসেম্বর, ২০২৪

আবুল হোসেন,চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি:

৭০ বছর বয়সী আব্দুস সাত্তার একটি জমি সংক্রান্ত বিরোধের সুরাহা পেতে ছুটে যান ইউনিয়ন পরিষদে। বিরোধ নিষ্পত্তি করতে পরামর্শ চান ইউপি চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলামের কাছে। ক্ষিপ্ত হয়ে ইউপি চেয়ারম্যান চড়াও হন বৃদ্ধ আব্দুস সাত্তারের উপর। থাপ্পড়, কিল-ঘুষি দেন বৃদ্ধ আব্দুস সাত্তারকে। গ্রাম পুলিশ সদস্যদেরকে নির্দেশ দেন ইউনিয়ন পরিষদের একটি কক্ষে আটকে রাখার। এরপর অন্তত ৩ ঘন্টা ঘরে আটকে রাখা হয় ওই বৃদ্ধকে। পরে বাড়ি ফিরে অপমান সইতে না পেরে আত্মহত্যা করার কথা জানান ঘনিষ্ঠজনদের।

 

গত ৩০ নভেম্বর চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল উপজেলার নেজামপুর ইউনিয়ন পরিষদে ঘটে এ ঘটনা। ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে ইউপি চেয়ারম্যানের বিচারের দাবিতে ইউনিয়ন পরিষদের সামনে মানববন্ধন করেছেন ভুক্তভোগী পরিবার ও স্থানীয় বাসিন্দারা। মানববন্ধনে তাদের দাবি, শুধু আব্দুস সাত্তারকেই নয়, বিভিন্ন সময়ে সেবাগ্রহীতাদেরকে আটকে রেখে নির্যাতন করেন চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম। মানববন্ধনে ভুক্তভোগী বৃদ্ধ আব্দুস সাত্তার বলেন, আমি গিয়ে অভিযোগ দেয়ার পরই মারধর শুরু করে। এরপর ঘরের মধ্যে আটকে রাখে আমাকে নির্যাতন করা হয়। আমার কোন অপরাধ না থাকা স্বত্ত্বেও কোনরকম যাচাই-বাছাই না করেই বিপক্ষ লোকের কথা শুনে আমাকে এভাবে অপমান ও মারধর করা হয়। আমি এই ঘটনার সুষ্ঠ তদন্ত ও চেয়ারম্যানের বিচার দাবি করছি। আব্দুস সাত্তারের ছেলে আমার শহিদুল ইসলাম জানান, বাবা বাড়িতে এসেও কিছু বলতে চায়নি। পরে ঘটনার বর্ণনা দিয়ে আত্মহত্যা করবে বলে জানায়। অনেক বুঝিয়ে শান্ত করলেও হঠাৎ করেই মধ্যরাতে অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। পরে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে চিকিৎসা দিয়ে সুস্থ করা হয়। বাবা এমন ঘটনায় চরম অপমান হয়েছেন ও কষ্ট পেয়েছেন। অভিযোগ রয়েছে, গত ৩-৪ মাস আগেও ষাটোর্ধ আব্দুল লতিবকে একইভাবে আটকে রাখেন চেয়ারম্যান। এসব ঘটনার সুষ্ঠ তদন্ত করে বিচারের দাবি ভুক্তভোগীদের।

 

এনিয়ে আব্দুল লতিব বলেন, কোন কথা শুনে হঠাৎ করেই আমাকে ঘরে বন্দি করার নির্দেশ দেন। দীর্ঘ সময় আটকে রাখার পর জরিমানা আদায় করে ছাড়া হয়। ঘরে আটকে রেখে মারধরের কথা স্বীকার করেন নেজামপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম। তবে জনপ্রতিনিধি হয়েও সেবাগ্রহীতাকে মারধরের বিষয়ে নিজের অপরাধের কথা অস্বীকার করেন তিনি। চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম বলেন, বারবার বলার পরেও অন্যায় কাজ করায় তার গায়ে হাত দিয়েছি ও জরিমানার টাকা আদায় করার জন্য ঘরে আটকে রাখা হয়েছিল।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর