বরগুনার আমতলী উপজেলার গুলিশাখালী ইউনিয়নের কালিবাড়ি গ্রামে সরকারি বন্দোবস্ত জমি ও গাছপালা ভোগ দখলে আদালতের নিষেধাজ্ঞা জারি থাকা সত্ত্বেও প্রভাবশালী এক ব্যক্তি জোর করে বিরোধীয় জমির গাছ কাটার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়,আমতলির গুলিশাখালী ইউনিয়নের কালীবাড়ি গ্রামের বাসিন্দা সুকুমার চন্দ্র শীলের ছেলে মলয় চন্দ্র ওরফে পলাশ শীল। তিনি এর আগে বহুবার ঐ জমির থাকা গাছ ও জমি দখলের পায়তারা করে আসছিলো।
২০০১ সালে জাকির হোসেন ও তার স্ত্রী রাজিয়া বেগম প্রকৃত ভুমিহীন হওয়ায় সরকার এক একর জমি তাদের নামে বন্ধোবস্ত দিয়েছেন।
অভিযোগ সুত্রে জানাগেছে, বুধবার সকালে জাকির ও রাজিয়ার ২০০১ সালে বন্দোবস্ত পাওয়া জমিতে ধান চাষ করতে গেলে বিবাদী মলয় চন্দ্র তাদের তাড়িয়ে দেয়। একপর্যায় গতকাল বুধবার ফাকা পেয়ে অযৌক্তিক দাবিদার মলয় চন্দ্র তাদের দলবল নিয়ে জাকির ও রাজিয়ার বন্দোবস্ত পাওয়া ওই জমিতে রোপিত ৩১ রেন্টি,চাম্বল,মেহগনিসহ বড় গাছ কেটে ফেলেছেন যাহার মুল্য আনুমানিক ১০ লক্ষ লক্ষ টাকা। মো: জাকির হোসেন ও রাজিয়া ওই জমি বন্দোবস্ত পাওয়ার ২২ বছর ধরে ওই জমি ভোগদখলে ছিলেন। সেই ভেগদখলীয় জমির জেএল নং-৭৪ কলাগাছিয়া মৌজার ১ নং খাস খতিয়ানের ৪৬৬১ নং দাগের ১ একর জমির উপরে লাগানো সকল রেন্ডি গাছগুলো কেটে ফেলেছে বিবাদী শ্রী মলয় চন্দ্র। তিনি গায়ের জোর খাটিয়ে রেন্টি,চাম্বল,মেহগনিসহ ৩১ টি বড় গাছ কেটেছেন
এমনটাই অভিযোগ করেছেন বাদী জাকির হোসেন।
সম্প্রতি ওই জমি জমা নিয়ে বিরোধ থাকায় ওই এলাকারই বাসিন্দা প্রকৃত বন্দোবস্ত জমির মালিক মো: জাকির হোসেন গত ১/১০/২৪ ইং তারিখ বিজ্ঞ সহকারি জজ আদালত বরগুনায় একটি দেওয়ানি মামলা করেছেন। যাহার মামলা নং-২৬৫/২০২৪।
মামলা সূত্রে জানাযায়, মো: জাকির হোসেনের ভেগদখলীয় জমির জেএল নং-৭৪ কলাগাছিয়া মৌজার ১ নং খাস খতিয়ানের ৪৬৬১ নং দাগের ১ একর জমির বন্দোবস্ত পেয়েছেন। পরক্ষণে যাচাই-বাছাই শেষে বাদীপক্ষের নামে একখানা আলাদা খতিয়ান খোলা হয়েছে। যাহার এসএ খতিয়ান নং ৯৫৮।
এ বন্দোবস্ত জমির প্রকৃত ভোগদখলকারী বাদী জাকির হোসেন ও রাজিয়া বেগম অস্থায়ী
বিবাদী মলয় চন্দ্র শীল তার নেতৃত্বে বাদী জাকির হোসেন ও রাজিয়া বেগমের ১ একর বন্দোবস্ত জমির সকল গাছপালা কেটে ফেলেছে। এতে ১০/১২ জন শ্রমিকের দারা ওই জমির উপরে লাগানো গাছগুলো কেটে ফেলেছে।
কালিবাড়ি গ্রামের স্থানীয় বাসিন্দা মো: বসার বিশ্বাস বলেন,এই জমি বন্দোবস্ত জাকির হোসেনের নামে দেয়া হয়েছে। আমি বর্গা চাষী আমি রেন্ডি গাছ লাগিয়েছি।
অভিযুক্ত শ্রী মলয় চন্দ্র ওরফে পলাশ এ বিষয়ে জানান,আমতলী থানার ওসি সাহেব আমাদের গাছ কাটতে অনুমতি দেয়নি। তবে আমরা কেটেছি।
এ বিষয়ে বাদী জাকির হোসেন বুধবার রাতে আমতলী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
আমতলী থানার অফিসার ইনচার্জ মো: আরিফুর রহমান জানান,এ জমি নিয়ে মামলা চলছে। আমরা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী পক্ষে শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষার্থে ওই জমির গাছপালাসহ কোন ভাবে দু গ্রুপের লোকজন আপাতত ভোগ দখল করতে পারিবে না। আদালতের রায়ের উপরে ভিত্তি করে সব সিদ্ধান্ত দু গ্রুপের মেনে নিতে হবে।