বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ০১:০৪ অপরাহ্ন
আজকের শিরোনাম
নাটোরের হয়বতপুরে এক গার্মেন্টস শ্রমিকের স্বপ্নভঙ্গ—প্রভাবশালী প্রতারকের ফাঁদে নিঃস্ব মাসুদ রানা পরিবার মধ্য পালশা একতা যুব সংঘ ক্লাবের উদ্যোগে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত শেরপুরে মহান বিজয় দিবস উদযাপনও জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের বিনম্র শ্রদ্ধা জাল কাগজ ও মিথ্যা মামলায় হয়রানির অভিযোগে লোহাগাড়ায় সংবাদ সম্মেলন জিয়া সাংস্কৃতিক সংগঠন বগুড়া জেলা কমিটির উদ্যোগে বিজয় দিবসে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি জাতীয় মানবাধিকার অ্যাসোসিয়েশন বগুড়া জেলা কমিটির উদ্যোগে বিজয় দিবসে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি ভুরুঙ্গামারী সরকারি কলেজে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণী সিরাজগঞ্জ ৩ আসনে বিএনপি’র মনোনয়ন পুনঃ বিবেচনার দাবিতে গণমিছিল  আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন: আমাদের দায়িত্ব ও জনগণের প্রত্যাশা – আরমান হোসেন ডলার লন্ডনে গ্রেটার চট্টগ্রাম এসোসিয়েশন, ইউকে’র উদ্যোগে মহান বিজয় দিবস উদযাপিত

শেরপুর সদর হাসপাতালে আপু ডাকায় রোগীর অভিভাবককে বের করে দিলেন ডাক্তার…!

মিজানুর রহমান,শেরপুর জেলা প্রতিনিধি: / ২৬ বার দেখা হয়েছে
আপডেট: শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

মিজানুর রহমান,শেরপুর জেলা প্রতিনিধি:

শেরপুর জেলা সদর হাসপাতালে জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত মেডিকেল অফিসার  ডাক্তার মারজিয়া খাতুনকে এক রোগীর অভিভাবক আপু ডাকায় উত্তেজিত হয়ে ওই রোগীর অভিভাবকসহ রোগীকে তার কক্ষ থেকে বের করে দেয়ার ঘটনা ঘটেছে। 

ঘটনাটি ঘটেছে ১৮ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার দুপুরে ২৫০ সয্যার শেরপুর জেলা সদর হাসপাতালের জরুরী বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসকের কক্ষে। 

অভিযোগকারী রোগীর অভিভাবক শহরের নয়নী বাজার মহল্লার কাজী মাসুম জানায়, বেলা দুইটার দিকে তার ছোট মেয়ে জান্নাতুল ফেরদৌস মামিয়ার প্রচন্ড পেট ব্যথা নিয়ে জেলা সদর হাসপাতালের জরুরী বিভাগে আসেন। এ সময় কর্তব্যরত ডাক্তার অনন্যা তাকে জরুরি কিছু ওষুধ লিখে দেন। ওষুধগুলো হাসপাতালে না পেয়ে হাসপাতালে বাইরে বিভিন্ন দোকানপাটে খুঁজতে থাকেন। এক পর্যায়ে একটি ওষুধ না পেয়ে প্রায় আধা ঘন্টা পর আবারও জরুরী বিভাগের মেডিকেল অফিসারের কক্ষে প্রবেশ করে দেখেন  আগের ডাক্তার অনন্যা ডিউটি শেষ করে চলে যাওয়ায় পরবর্তী ডিউটিতে আসেন ডাক্তার মারজিয়া খাতুন। এ সময় রোগীর অভিভাবক বিনয়ের সাথে ডাক্তার মারজিয়াকে আপুর সম্মোধন করে বলেন, আগের ডাক্তার যে ওষুধটি দিয়েছিল সে ওষুধটি পাওয়া যাচ্ছে না। অন্য কোন ওষুধ দেয়া যায় কিনা। এ সময় ডাক্তার মারজিয়া ‘আপু’ শব্দটি শুনে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে বলেন, ‘আপু বলছেন কেন, আমি মেডিকেল অফিসার। জান বের হয়ে যান। হতভম্ব রোগীর অভিভাবক বলেন, আপু ডেকে কি দোষ করেছি। কিন্তু এতেও আরো রাগান্বিত হয়ে কয়েক দফা তাকে ধমক দিয়ে তার রুম থেকে বের করে দেন বলে জানা গেছে। 

ঘটনা জানার পর বেলা তিনটার দিকে শেরপুরের কয়েকজন সংবাদকর্মী সরাসরি ওই ডাক্তারের কক্ষে আসেন বিষয়টি জানার জন্য। এ সময় তিনি বলেন, আমি আমার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ছাড়া কারো সঙ্গে কোনো কথা বলবো না। 

পরে হাসপাতালের আরএমও ডাক্তার তাহেরাতুল আশরাফির সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, বিষয়টি আমি  শুনেছি, হয়তো ভুলক্রমে তিনি এ কথা বলেছেন। তবে আমাদেরকে অফিসিয়ালি অভিযোগ বা সরাসরি কথা বললে শনিবার আসতে হবে। আর মিউচ্যুয়াল করতে চাইলে তার সাথে সরাসরি কথা বলতে পারেন।

এদিকে হাসপাতালে জরুরি বিভাগের ডাক্তারদের এহেন আচরণে উপস্থিত অনেক রোগী এবং তার অভিভাবকরা একই অভিযোগে তুলেন ওই ডাক্তারের বিরুদ্ধে। তারা বলেন শুধুই এই মারজিয়াই নয় হাসপাতালে কর্তব্যরত যত ডাক্তার আছে তাদের মধ্যে প্রায় সবাই এমন আচরণ করেন রোগী এবং তার অভিভাবকদের সাথে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর