বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৪:০৬ পূর্বাহ্ন
আজকের শিরোনাম
মধ্য পালশা একতা যুব সংঘ ক্লাবের উদ্যোগে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত শেরপুরে মহান বিজয় দিবস উদযাপনও জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের বিনম্র শ্রদ্ধা জাল কাগজ ও মিথ্যা মামলায় হয়রানির অভিযোগে লোহাগাড়ায় সংবাদ সম্মেলন জিয়া সাংস্কৃতিক সংগঠন বগুড়া জেলা কমিটির উদ্যোগে বিজয় দিবসে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি জাতীয় মানবাধিকার অ্যাসোসিয়েশন বগুড়া জেলা কমিটির উদ্যোগে বিজয় দিবসে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি ভুরুঙ্গামারী সরকারি কলেজে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণী সিরাজগঞ্জ ৩ আসনে বিএনপি’র মনোনয়ন পুনঃ বিবেচনার দাবিতে গণমিছিল  আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন: আমাদের দায়িত্ব ও জনগণের প্রত্যাশা – আরমান হোসেন ডলার লন্ডনে গ্রেটার চট্টগ্রাম এসোসিয়েশন, ইউকে’র উদ্যোগে মহান বিজয় দিবস উদযাপিত লালমনিরহাট টিটিসি’র প্রশিক্ষণের পরিবেশ বিনষ্ট করতে উঠেপড়ে লেগেছে গিয়াস উদ্দিন 

শেরপুরের নালিতাবাড়ী পাহাড়ি ঢলে সেতু ভেঙে যাওয়ায় নদী পারাপারে ভোগান্তি!

মিজানুর রহমান, শেরপুর জেলা প্রতিনিধি: / ৪৩ বার দেখা হয়েছে
আপডেট: সোমবার, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

মিজানুর রহমান, শেরপুর জেলা প্রতিনিধি:

শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার আমবাগান বাজার সংলগ্ন চেল্লাখালী নদীর ওপর নির্মিত মিনি স্টিল ব্রিজটি গত বছর পাহাড়ি ঢলে ভেঙে যাওয়ার পর থেকে নদী পারাপারে কয়েকটি গ্রামের মানুষের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। বর্ষাকালে একমাত্র বাহন হচ্ছে রশিটানা নৌকা।

আমবাগান বাজার থেকে পশ্চিম দিকে চেল্লাখালী নদীর বাতকুচি ঘাটে কয়েক বছর আগে নদী পারাপারের জন্য একটি মিনি স্টিল ব্রিজ নির্মাণ করা হয়েছিল। গত বছরের ভয়াবহ বন্যায় ওই স্টিলের ব্রিজটি ভেসে যাওয়ায় আমবাগান বাজার থেকে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে রয়েছে ওই ইউনিয়নের সাথে সংযুক্ত বাকি গ্রামগুলো। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন নদী তীরবর্তী কয়েক গ্রামের শত শত মানুষ। নালিতাবাড়ী উপজেলার পোড়াগাঁও ইউনিয়নের বুক চিরে বয়ে গেছে উজান থেকে নেমে আসা খরস্রোতা পাহাড়ি চেল্লাখালী নদী। বর্তমানে নদী পারাপারে রশিটানা নৌকাই তাদের একমাত্র ভরসা। নদী পার হলেই শুরু হয় পোড়াগাঁও ইউনিয়নের বাতকুচি, টিলাপাড়া, লক্ষিকুড়া, মেষকুড়া, তোয়ালকুচি, ছাইচাকুড়া, ধোপাকুড়া গ্রাম ও ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্স। এ সব গ্রামের মানুষকে বাতকুচি ঘাটে রশিটানা নৌকা দিয়ে প্রতিদিন যেতে হয় স্থানীয় হাটবাজার কিংবা উপজেলা সদরে। স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদেরও এভাবেই পারাপার হতে হয়। আর পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস কিংবা উপজেলা প্রশাসনের কোনো গাড়ি বিশেষ প্রয়োজনে ওই এলাকায় যাওয়ার প্রয়োজন হলে বারোমারী বাজার কিংবা নন্নী এলাকা দিয়ে অতিরিক্ত ৮ থেকে ১০ কিলোমিটার পথ ঘুরে যেতে হয়।

পাহাড়ি ঢলে মিনি স্টিল ব্রিজ ভেসে যাওয়ার এক বছর হয়ে গেলেও নতুন সেতু নির্মাণে নেই কোনো উদ্যোগ। সরেজমিনে দেখা গেছে, রশিটানা নৌকায় জনপ্রতি ৫ টাকা দিয়ে নদী পারাপার হচ্ছেন স্থানীয়রা। নৌকায় ওঠার জন্য কোনো অবকাঠামো না থাকায় বৃদ্ধ, স্কুল পড়ুয়া শিক্ষার্থী ও মহিলারা নৌকায় ওঠার সময় দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন। ফলে মানুষের যাতায়াত বিড়ম্বনা বেড়ে গেছে অনেকটা। স্থানীয়রা বলেন, ‘ব্রিজটি ভেসে গেছে এক বছর হলেও কেউ খোঁজ নিতেও আসেনি। ছেলেমেয়েদের স্কুলে যেতে খুব কষ্ট হয়।

কেউ অসুস্থ হলে দ্রুত ডাক্তারের কাছেও নিয়ে যেতে পারি না। দ্রুত ব্রিজটি নির্মাণ করা না হলে জন দুর্ভোগ কমবে না। বাতকুচি ঘাট দিয়ে স্কুলে যাতায়াত করতে আগে স্টিলের ব্রিজ ছিল। গত বন্যায় ভেসে গেছে। এখন চলাচল করতে কষ্ট হয়। পোড়াগাঁও ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মাওলানা মো. জামাল উদ্দিন প্রতিনিধিকে জানান, এই ইউনিয়নের অধিকাংশ গ্রামই নদীর ওপারে। আমবাগান বাজার সংলগ্ন বাতকুচি ঘাটে নতুন করে সেতু নির্মাণ করা হলে এলাকার বাসিন্দাদের ব্যবসা-বাণিজ্যসহ স্কুল-কলেজের শিক্ষক ও ছাত্রছাত্রীদের আর অসুবিধা থাকবে না। চব্বিশের ভয়াবহ বন্যায় ক্ষতির তালিকায় এই সেতুর নাম উল্লেখ করে আমরা উপজেলায় জমা দিয়েছি।

নালিতাবাড়ী উপজেলা প্রকৌশলী মো. গোলাম কিবরিয়া পিয়াল জানান, এলাকার মানুষের যাতায়াতের জন্য সেখানে একটি নতুন ব্রিজ নির্মাণ করা খুবই প্রয়োজন। আমরা ব্রিজটি নির্মাণের জন্য গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় অর্থ বরাদ্দ চেয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেছি। অনুমোদন পেলে তা বাস্তবায়ন করে ব্রিজটি নির্মাণ করা হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর