নিজস্ব প্রতিবেদক : (এসএমপি) শাহপরান রহঃ থানার নবাগত অফিসার ইনচার্জ খন্দকার মোস্তাফিজুর রহমানের সাথে সৌজন্যে সাক্ষাৎকালে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে একটি আলোচনা সভার প্রস্তাব প্রদান করেন নবাগত খন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান।
সংস্থার নিয়মিত মাসিক সভা ১৯ ডিসেম্বর আল ইসলাহ একতা কল্যাণ সংস্থার কার্যালয়ে উন্মুক্ত আলোচনা সভার আয়োজন করিলে, ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য সংসদ সদস্য প্রার্থী ওসমান হাদি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু বরণ করায় অশৃঙ্খল পরিবেশ তৈরি হয় সারা দেশে, দেশের সাময়িক পরিস্থিতির কারনে তিনি উপস্থিত হতে পারেননি বলে মুঠোফোনে দুঃখ প্রকাশ করেন।
সভায় উপস্থিত ছিলেন আল ইসলাহ একতা কল্যাণ সংস্থার সভাপতি মোঃ হেলু আহমদ , সহ সভাপতি মোঃ শহিদ আহমদ, সহ সভাপতি সাবু আহমেদ, সহ সভাপতি সাংবাদিক মোঃ মোহন আহমদ, সাধারণ সম্পাদক মওলানা মাছুমুর রহমান মাছুম, সাংগঠনিক সম্পাদক ফখরুল আহমদ, মোঃ নুরুজ্জামান, নাসির আহমদ চৌধুরী, উপদেষ্টা পরিষদ মোঃ আব্দুল আহাদ, মোঃ আরব আলী, মোঃ মঈন মিয়া, এছাড়া উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিক মোঃ লুৎফুর রহমান, সাংবাদিক নুরুল ইসলাম, সাংবাদিক লিমন আহমদ, মোঃ জালাল উদ্দীন,সাইদুল ইসলাম সবুজ, সৈয়দ সজীব আহমদ, আলমগীর মিয়া, সজল খা সহ এলাকার গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ।
সভায় বক্তারা এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির বিষয়ে বক্তব্যে বলেন,
প্রতিদিন কুনোনা কুনো বাসা চুরি হচ্ছে, এছাড়া বহিরাগতদের আনাগোনা বাড়তেছে, ফলে এলাকায় তরুণ যুব সমাজ রাজনীতির দিকে ঝুঁকছে, আল ইসলাহ একতা কল্যাণ সংস্থার লক্ষ্য তরুণ কিশোর যুবকদের নিয়ে সামাজিক কাজে ঝাপিয়ে পড়া, উন্নয়ন মূলক কাজে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে সমাজের অন্যায় অপকর্মের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ গড়ে তোলা।
সংস্থার পৃষ্ঠপোষক শেখ শফিক উদ্দিন এর দিক নির্দেশনায় এই সংস্থা দেশের যেকোনো দুর্যোগে খাদ্য অর্থ বস্ত্র দিয়ে অসহায়দের পাশে দাড়াচ্ছে, সম্পুর্ন অলাভজনক অরাজনৈতিক সংস্থা মানবতার কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে।
বক্তারা শাহপরান থানার অফিসার ইনচার্জ ও এসএমপি পুলিশ কমিশনার দৃষ্টি আকর্ষণ করে আরও বলেন, সমাজ ব্যবস্থা সুন্দর করার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগীতা প্রয়োজন, বিগতদিনে এলাকা হতে অপরাধীদের আটক করার পর, বিশেষ কুনো রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের তদবির ও নগদ অর্থ দিয়ে থানা থেকে অপরাধীদের ছাড়িয়ে আনা হইতো, আমরা বালুচরবাসী সন্তুষ্টিমূলক সেবা পাইনি, সাধারণ ডায়েরি করতে গেলে থানার এই দুর্গম পথে গাড়ি রিজার্ভ করে যাওয়া আসা করতে হয়, যা একজন দিনমজুর মানুষের জন্য কষ্টকর বটে, সাধারণ ডায়েরি তদন্তে নিযুক্ত অফিসারকে চা পানের আলাদা খরচ দিতে হতো, সেবা গ্রহনের নামে এরকম বোবা কান্নার হয়রানি শিকার হতে হয়েছে । এছাড়া নিরপরাধ মানুষকে হয়রানির শিকার হতে হয়েছে কুনো এক কুচক্রী মহলের ধারা।
আমরা এলাকাবাসী আশাবাদী পুলিশ জনগনের বন্ধু, পুলিশ হবে জনবান্ধন, জনগনের নিরাপত্তাকারী, এবং জনগনের জানমাল নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দায়িত্ব পুলিশের, নির্দোষ নিরপরাধ মানুষ যাতে কুনো চক্রধারা হয়রানির শিকার না হয় সেদিকে সজাগ দৃষ্টি রাখার জন্য ও এলাকায় পুলিশ টহল নিশ্চিত করার দাবী জানানো হয়। সাধারণ ডায়েরি করে যেন কুনো প্রকার হয়রানি ও ভোগান্তি শিকার না হয়। এবং এলাকায় চিহ্নিত সন্ত্রাস চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়, অপরাধীদের কুনো রাজনৈতিক পরিচয়ে কিংবা রাজনৈতিক নেতার তদবিরে যেন ছাড় দেওয়া না হয়,।
বালুচর এলাকায়
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ডিউটিকালীন অবস্থায় এলাকার স্থানীয় কুনো প্রভাবশালী ব্যাক্তির বাসায় গিয়ে চায়ের আড্ডায় শামিল নয় হয়, কুনো একটি মহল পুলিশকে বাসায় নিয়ে চা নাস্তা করিয়ে তাদের নিজের স্বার্থ হাসিল করে সাধারণ মানুষকে ভয়ভীতি দেখিয়ে,
আমরা এলাকাবাসী আশা করছি দেশের পরিস্থিতি ভালো হলে আগামীতে সিলেট জেলা প্রশাসক ও সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারকে নিয়ে বড়সড় আকারে এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও সমাজের উন্নয়নের লক্ষ্যে উন্মুক্ত আলোচনা সভা আয়োজন করবো।