বৃহস্পতিবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৭:৩১ অপরাহ্ন
আজকের শিরোনাম
সুনামগঞ্জের জয়নগর এলাকায় সুরমা নদীতে পুলিশের অভিযানে ভারতীয় অবৈধ ৩১টি গরু এবং নৌকসহ ২জন আটক স্কটল্যান্ডে বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল ড. ওয়ালী তসর উদ্দিন এমবিই হাউস অব লর্ডসে বিশেষ সম্মাননায় ভূষিত কর্ণফুলীতে সন্ত্রাস বিরোধী আইনে যুবলীগ নেতা মোহাম্মদ সালাউদ্দিন গ্রেফতার শেরপুরে অবৈধ ইটভাটায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান: ১৪ লাখ টাকা জরিমানা সুনামগঞ্জ সদর উপজেলায় টি আর ও কাবিখা প্রকল্পে ১৩৫টি উন্নয়ন কাজ বাস্তবায়ন শেরপুরে ব্র্যাকের একসেলারেটেড এডুকেশন মডেল বাস্তবায়নে অভিজ্ঞতা বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত নাটোরের হয়বতপুরে এক গার্মেন্টস শ্রমিকের স্বপ্নভঙ্গ—প্রভাবশালী প্রতারকের ফাঁদে নিঃস্ব মাসুদ রানা পরিবার মধ্য পালশা একতা যুব সংঘ ক্লাবের উদ্যোগে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত শেরপুরে মহান বিজয় দিবস উদযাপনও জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের বিনম্র শ্রদ্ধা জাল কাগজ ও মিথ্যা মামলায় হয়রানির অভিযোগে লোহাগাড়ায় সংবাদ সম্মেলন

তাড়াশে ভূমি ব্যবস্থাপনা নীতিমালা উপেক্ষা করে চলছে পুকুর খনন

রিপোর্টারের নাম / ৪৯ বার দেখা হয়েছে
আপডেট: সোমবার, ৯ ডিসেম্বর, ২০২৪

তাড়াশ প্রতিনিধিঃসি

রাজগঞ্জঃ সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলায় ভূমি ব্যবস্থাপনা নীতিমালা উপেক্ষা করে উর্বর কৃষি জমিতে অবাধে পুকুর খনন চলছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, এ অঞ্চলে প্রায় ১৪,৯৪০ বিঘা কৃষি জমিতে পুকুর খনন করা হয়েছে, যা খাদ্য উৎপাদনের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলছে।

যত্রতত্র পুকুর খননের ফলে পানি নিষ্কাশনের পথ বন্ধ হয়ে শত শত একর আবাদযোগ্য জমি জলাবদ্ধ হয়ে যাচ্ছে। এর ফলে ওই জমি চাষাবাদের জন্য অনুপযুক্ত হয়ে পড়ছে।
তাড়াশের নওগাঁ ইউনিয়নের ভায়াট গ্রামে প্রায় ৫০ বিঘা আয়তনের একটি পুকুর খনন করা হচ্ছে। মাধাইনগর ইউনিয়নসহ অন্যান্য এলাকাতেও একইভাবে পুকুর খনন অব্যাহত রয়েছে।

ভায়াট গ্রামের কৃষক আকছেদ আলী বলেন, পুকুর খননের কারণে আমাদের আশপাশের জমিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হবে। এমনকি গবাদিপশুর জন্য গোচারণ ভূমিও কমে যাচ্ছে, যা ভবিষ্যতে খাদ্য সংকটের কারণ হতে পারে।

ঝুরঝুরি গ্রামের কৃষক কালু প্রামাণিকের অভিযোগ, প্রভাবশালীরা মাছ চাষের জন্য পুকুর খনন করে লাভবান হলেও আমাদের কৃষি জমি অনাবাদি হয়ে পড়ছে।

তাড়াশ উপজেলার মৎস্য কর্মকর্তা মো. মসগুল আজাদের তথ্যমতে, গত এক দশকে তাড়াশে ৪,২০০টিরও বেশি পুকুর খনন করা হয়েছে। একই সময়ে ১৪,৯৪০ বিঘা কৃষি জমি হারিয়ে গেছে, যার ফলে ধান উৎপাদন উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে বলে জানান কৃষি কর্মকর্তা মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন।

তাড়াশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আসলাম হোসেন এবং উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) খালিদ হাসান পুকুর খনন বন্ধে যৌথ বাহিনীর অভিযান পরিচালনার প্রস্তাব দিয়েছেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুইচিং মং মারমা জানিয়েছেন, “পুকুর খননের তথ্য পাওয়া মাত্রই দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” তবে স্থানীয় সচেতন মহলের মতে, অবৈধ পুকুর খনন বন্ধে হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা জরুরি।

তাড়াশে পুকুর খনন কার্যক্রম চলতে থাকলে খাদ্য উৎপাদন, জীববৈচিত্র্য এবং স্থানীয় কৃষকের জীবনযাত্রায় ব্যাপক নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। এখনই কার্যকর ব্যবস্থা না নিলে তাড়াশের কৃষি ও পরিবেশের জন্য এটি বড় বিপর্যয় হতে পারে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর