বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ০২:৩১ পূর্বাহ্ন
আজকের শিরোনাম
মধ্য পালশা একতা যুব সংঘ ক্লাবের উদ্যোগে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত শেরপুরে মহান বিজয় দিবস উদযাপনও জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের বিনম্র শ্রদ্ধা জাল কাগজ ও মিথ্যা মামলায় হয়রানির অভিযোগে লোহাগাড়ায় সংবাদ সম্মেলন জিয়া সাংস্কৃতিক সংগঠন বগুড়া জেলা কমিটির উদ্যোগে বিজয় দিবসে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি জাতীয় মানবাধিকার অ্যাসোসিয়েশন বগুড়া জেলা কমিটির উদ্যোগে বিজয় দিবসে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি ভুরুঙ্গামারী সরকারি কলেজে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণী সিরাজগঞ্জ ৩ আসনে বিএনপি’র মনোনয়ন পুনঃ বিবেচনার দাবিতে গণমিছিল  আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন: আমাদের দায়িত্ব ও জনগণের প্রত্যাশা – আরমান হোসেন ডলার লন্ডনে গ্রেটার চট্টগ্রাম এসোসিয়েশন, ইউকে’র উদ্যোগে মহান বিজয় দিবস উদযাপিত লালমনিরহাট টিটিসি’র প্রশিক্ষণের পরিবেশ বিনষ্ট করতে উঠেপড়ে লেগেছে গিয়াস উদ্দিন 

তাড়াশে প্রধান শিক্ষক সালামের বিরুদ্ধে  শিক্ষিকাকে কু প্রস্তাব দেবার অভিযোগ

রিপোর্টারের নাম / ১৫২ বার দেখা হয়েছে
আপডেট: সোমবার, ২৫ আগস্ট, ২০২৫

স্টাফ রিপোর্টার সিরাজগঞ্জঃ

সিরাজগঞ্জঃ সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার তালম ইউনিয়নের কলামুলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আব্দুল সালামের বিরুদ্ধে অনৈতিক, অশোভনীয় আচরণের বিচার চেয়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন ওই বিদ্যালয়ের তিনজন সহকারী শিক্ষক।

লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, প্রধান শিক্ষক মো. আব্দুল সালাম বিদ্যালয়ে আসলে প্রতিদিন তাঁর বসার চেয়ার পরিস্কার করে চা দিতে বলেন সহকারী এক শিক্ষিকাকে। বিদ্যালয়ের দুটি ল্যাবটপ তার ছেলে মেয়ে ব্যবহার করেন আর স্কুলের অনলাইনের সকল কাজ তিনি বাহিরে কম্পিউটারের দোকানে গিয়ে করতে বলেন। কোন কাজের চাপে না করলে প্রধান শিক্ষক অকথ্য ভাষায় গালাগালি এবং অশালিন আচরণ করেন শিক্ষকদের সাথে। তিনি বিভিন্ন সময় শিক্ষিকাদের তাঁর নিজের বাড়ি এসি রুমে গিয়ে কাজ করার কূপ্রস্তাব দেন। এছাড়াও তিনি শিক্ষার্থীদের ফকিন্নির ছেলে-মেয়ে বলে গালি দেন। এনিয়ে শিক্ষকগণ তাড়াশ শিক্ষা অফিসারের কাছে মৌখিক অভিযোগ করায় প্রধান শিক্ষক ওই শিক্ষকদের খারাপ আচরণ, চরম মূল্য দিতে হবে বলে হুমকি দেন। শিক্ষকদের সাথে এমন আচারণ করার কারণে ওই স্কুলে শিক্ষকগণ থাকতে চায় না। পাশাপাশি তিনি বলেন কোন অফিসারের বাপের সাধ্য নেই তাকে বদলী করার।

এ দিকে সোমবার (২৫ আগস্ট) বেলা ১২টার কলামুল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তদন্ত করতে আসলে স্থানীয় লোকজন ওই প্রধান শিক্ষককের অপসরণ দাবী করে মিছিল করেন।

সাদিয়া নামের তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী জানায়, আমাদের প্রধান শিক্ষক আব্দুস সালাম স্যার আবু সাইদ নিয়ে সুটিং করার বলেছিল কিন্তু আমরা না পারা আমাদের মারছে। তিনি আরো বলেন, চারুকারু পরীক্ষার সময় আমরা যে ঝাড়–, ছাপ্টা নিয়ে আসি সেগুলো সব উনার বাড়িতে গিয়ে গেছে। আজ আমাদের স্কুলে এটিও স্যার এসেছে আমরা কোন রুম পরিস্কার করতে পারি নাই।

রুমান নামের আরেক শিক্ষার্থী বলেন, আমাদের অনেক সময় তার বাড়িতে নিয়ে গিয়ে কাজ করে নেন। নতুন ওয়াসরুম ব্যবহার করতে গেলে আমাদের ধরে মারে।

শ্লীলতাহানির শিকার পঞ্চম শ্রেণির এক শিক্ষার্থী কান্নাকণ্ঠে বলেন, আমরা ক্লাস রুমে সবাই এক যেতে গিয়ে ধাক্কা খেয়ে আমি স্যার গায়ের সাথে ধাক্কা খেয়েছি। উনি তখন আমার শরীরে হাত দেয় এবং সেটি ভিডিও স্যারের ফেসবুকে আপলোড করেন। যা দেখে আমার বাড়ির লোকজন আমাকে মারছে এবং প্রতিদিন বকা দেয়। আমাদের স্কুলে শুধু আমার সাথে না, সবার সাথেই তিনি এমন আচরণটা করেন।

কলামুলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. রবিউল ইসলাম বলেন, আমি বিদ্যালয়ে যোগদান করার পর থেকে প্রধান শিক্ষকের কাছে থেকে একজন শিক্ষকের সম্মান কখনও পাইনি। তিনি আমাকে বিভিন্ন ভাবে হুমকি ধামকি করেন। স্কুলের কোন কিছু প্রয়োজন হলে তিনি সেটা কিনেন না। এ নিয়ে কথা বললে উনি অকথ্য ভাষা গালাগালি করেন।

আরেক শিক্ষক জুবায়ের ইসলাম বলেন, এ স্কুল আমার প্রথম কর্মস্থান। যোগদান করার পর থেকেই তিনি আমাকে ভয় দেন। তিনি উদাহরণ দেন এর আগে এক টিও স্যারকে তিনি নাকি কলার ধরে মেরেছিলেন। সেই টিও স্যার নাকি প্রধান শিক্ষকের হাত ধরে ক্ষমা চেয়েছেন। পরে সেটি জানতে পেরেছি আমাদের ভয় দেখিয়ে তিনি মূলত তার ব্যবসায়ী খামার ব্যস্ত থাকেন। আর আমাদের দিয়ে স্কুল পরিচালনা করেন। তিনি রাত দিন শিক্ষকদের সাথে এমন অশোভনীয় আচরণের কারণে কোন শিক্ষক বেশিদিন থাকতে চায় না। আমি খুবই দ্রæত বদলী নিয়ে যাবো।

কলামুলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোছা. ফাতিমা খাতুন বলেন, প্রধান শিক্ষক আমাদের সাথে খুবই খারাপ আচরণ করেন। শুধু তাই নয় কয়েকদিন আগে বাচ্চাদের জন্য সরকারি কিমির ট্যাবলেট ১ বছর আগে খোলাটা খাওয়াতে বলে কিন্তু আমরা নতুনটা খাওয়ালে তিনি আমাদের মার মুখি আচারণ করেন। আর নতুন ট্যাবলেটগুলো তিনি তার মুরগীর খামারের জন্য নিয়ে যায়।

তবে সকল অভিযোগ অস্বীকার করে কলামুলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান মো. আব্দুস সালাম বলেন, আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা ও ষড়যন্ত্র চলছে।

এ প্রসঙ্গে তাড়াশ উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ও তদন্ত কমিটির সদস্য মো. রেজাউল করিম বলেন, অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তদন্ত করতে এসেছি। উপস্থিত সকলের লিখিত স্টেটমেন্ট (বিবরণ) নিয়েছি। বিষয়টি পরে বিস্তারিত জানানো হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর