শেখ মোঃ করিম বকসো,তাড়াশঃ
শীতপ্রবণ এলাকা হিসেবে পরিচিত সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলা, শরতের প্রথমেই শুরু হয়েছে শীতের পদধ্বনি। দিনে গরম আবহাওয়া থাকলেও সন্ধ্যার পর থেকেই প্রকৃতি যেন জানান দিচ্ছে শীতের আগমনী বার্তা। খোলা মাঠের দূর্বা ঘাসের ওপর চিকচিক করা শিশির ফোঁটা। ভোরে ফসলের মাঠ, সবজি ক্ষেত ভরে যায় ভোরের শিশিরে।
উত্তরের জেলা সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলায় প্রতি বছর নভেম্বরের মাঝামাঝি থেকে ডিসেম্বর-জানুয়ারি মাসে কনকনে শীত অনুভূত হয়। তবে শীতের আমেজ শুরু হয় অক্টোবরের মাঝামাঝি থেকেই। প্রতি বছরের মত এবারও অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহের শেষের দিকে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা কমতে শুরু করেছে।
তাড়াশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের সূত্রে জানা যায়, মৌসুমি বায়ু বিদায় নিয়েছে। এখন টানা বৃষ্টিপাত হবে না। হঠাৎ বৃষ্টি হয়ে আবার রোদ উঠবে। সারাদেশে ধীরে ধীরে কুয়াশা বাড়তে থাকবে। রোদের তাপমাত্রা কমতে থাকবে।
অক্টোবর থেকে উত্তরাঞ্চলে কুয়াশা পড়া শুরু হয়। এখন থেকেই উত্তরের জেলাগুলোতে তাপমাত্রা কমতে থাকবে। নভেম্বরের শুরু হয়ে ডিসেম্বর-জানুয়ারিতে পুরোপুরি শীতের প্রভাব পড়বে।
তাড়াশ উপজেলার সদর ইউনিয়নের মাধবপুর গ্রামের বাসিন্দা মোঃ হাফিজুল ইসলাম বলেন, তিন-চার দিন ধরে সন্ধ্যার পর থেকে শীত শীত লাগছে। ফজরের নামাজ পড়তে বাড়ি থেকে বের হলে ঘন কুয়াশা দেখা যায়। গতকাল সকালেও বিভিন্ন এলাকায় কুয়াশা ছিল। রাতে শীতের কারণে আপাতত কাঁথা বের করা হয়েছে।
এদিকে দিনে গরম এবং রাতে শীতের কারণে তাড়াশ আধুনিক হাসপাতালসহ বিভিন্ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রে বাড়ছে শীতজনিত রোগবালাই। বিশেষ করে শিশু ও বয়স্করা সর্দি, কাশি, নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছেন।
একই সঙ্গে শীতের আগাম প্রস্তুতি হিসেবে স্থানীয় মানুষজন শীতের কাপড় বের করতে শুরু করেছেন। বিশেষ করে রাতে পথচারী ও মোটরসাইকেল চালকদের শীতের কাপড় পড়তে দেখা গেছে। তাড়াশ উপজেলার বিভিন্ন বাজারে লেপ-তোষক দোকানদারদের কর্মব্যস্ততাও বেড়ে গেছে। অনেকে শীতের আগেই শীতের কাপড় এবং লেপ-তোষক তৈরি করে আগাম প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
তাড়াশ বাজারের তুলা ব্যবসায়ীরা বলেন, প্রতি বছর এই সময়ে আমাদের কাজের চাপ বেড়ে যায়। এবারও আমাদের ব্যস্ততা বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে কাপড় এবং তুলার দাম বেশি হওয়ায় আগের মত সেই ভিড় নেই। অনেকে সাধ্যের মধ্যে লেপ বানানোর অর্ডার দিচ্ছেন।