মজিবর রহমান স্টাফ রিপোর্টার
সিরাজগঞ্জের তাড়াশে জমি-জমা নিয়ে বিরোধের জের ধরে এক মানষিক প্রতিবন্ধর বাড়িসহ পাঁচটি বাড়িতে হামলা ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় নারীসহ ১০ জন মারাত্মক আহত হয়েছেন। আহতদের প্রথমে তাড়াশ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে সিরাজগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল ও বগুড়ার শহিদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। শুক্রবার বিকেলে উপজেলার তাড়াশ সদর ইউনিয়নের বোয়ালিয়া গ্রামে ওই হামলা ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটে।
গ্রামবাসি ও থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ওই গ্রামের নজরুল ইসলান ও সরোয়ার হোসেন গং একই গ্রামের কেরামত আলীর স্ত্রী মরিয়ম গংয়ের লোকজন পৈত্তিক সূত্রে পাওয়া জমি নিজেদের বলে দাবী করলে উভয়ের মধ্যে দ্ব›েদ্বর সৃষ্টি হয়। এরই জের ধরে শুক্রবার বিকেলে নজরুল ইসলাম ও সরোয়ার হোসেন গংয়ের কাসেম, আলী, আলেপ, রাশিদুল, সবুজ, নাজির, আলিম, আরিফুল, সাহেব আলী, নায়েব আলী, জাহিদুলসহ প্রায় শতাধিক লোকজন দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র ও লাঠিশোটা নিয়ে মরিয়ম গংদের বাড়ি ঘরে পর পর দু’দফা হামলা চালায়। এতে মানষিক প্রতিবন্ধী আমেনা খাতুনসহ মরিয়ম গংদের পাঁচটি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্থ হয়। এ সময় মরিয়ম গংয়ের লোকজন বাড়ীঘর রক্ষা করতে গেলে প্রতি পক্ষের হাসমলায় মরিয়ম বেগম, আসমানী, রোজিনা, রাবেয়া, বকুল হোসেন, মানিক, রুবেল, সাকিল, ফারুক, কেরামত আলী ও প্রতিবন্ধী আমেনাসহ অন্তত ১০ জন গুরুত্বর আহত হয়।
এ ব্যাপারে হামলাকারী নজরুল ইসলাম ও সারোয়ার হোসেন জানান, জমিটি আমরা ক্রয় করে দীর্ঘদিন ধরে ভোগদল করে আসছি। কিন্তু মরিয়ম গংয়ের লোকজন জোড়পূর্বক দখল করেছেন। হামলা ও ভাংচুরের ব্যাপারে তার বলেন, কে বা বারা হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে আমরা জানি না। আমাদের উপর মিথ্যা অভিযোগ চাপানো হচ্ছে।
তাড়াশ থানার ওসি আসলাম হোসেন বলেন, ঘটনা স্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তবে এখনো কোন পক্ষ থানায় অভিযোগ করেননি।