নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
আওয়ামী সরকারের পতনের এক বছর পরও রাজশাহীতে বহাল তবিয়তে দায়িত্ব পালন করছেন ইউপি চেয়ারম্যান এবং মেম্বারেরা ।
সরকারের পট পরিবর্তনের পরও বহাল তবিয়তে দায়িত্ব পালন করছেন তারা । এ সময় তাদের একটি রাজনৈতিক দল ও ছাত্র সমন্বয়কদের কিছু নেতা নানাভাবে সুবিধা দিচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ফলে সরকার পতনের দীর্ঘ ১৪ মাসেও আওয়ামী সমর্থিত এসব চেয়ারম্যান এবং মেম্বারেরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। এ সুযোগে তারা নিয়মিত পালিয়ে থাকা দলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করে শেখ হাসিনাকে আবারও দেশে ফিরিয়ে আনার ষড়যন্ত্র করছেন বলে জানা গেছে। আর এই তালিকায় রয়েছেন পবা, মোহনপুর, গোদাগাড়ী, তানোর,চারঘাট, বাঘা উপজেলার চেয়ারম্যান এবং মেম্বারেরা।
সরেজমিনে ঘুরে বিভিন্ন সূত্রে পাওয়া খবরে জানা যায়, বিগত স্বৈরাচার সরকারের সময় রাজশাহীর প্রায় প্রতিটি ইউনিয়নে নির্বাচনের সময় বিরোধী মতের কোনো রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ ছিল না। বেশিরভাগ স্থানে প্রতিদ্বন্দ্বীও ছিল না। তবে যারা প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন তার সবটাই আ.লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী। অভিযোগ রয়েছে, রাজশাহী জেলার অন্তর্গত সাবেক এমপি ওমর ফারুক চৌধুরীর নির্বাচনি এলাকা গোদাগাড়ী -তানোর উপজেলার একই নির্বাচনি এলাকা ইউপি চেয়ারম্যান এবং মেম্বারেরা। তারা নিজ নিজ এলাকায় রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে দাঁড়াতেই দেয়নি। হামলা-মামলা, জমি দখল, চাঁদাবাজি সর্বক্ষেত্রেই ছিল তাদের বিচরণ। ২৪ এর ৫ আগস্ট পরবর্তী সাধারণ মানুষ তাদের গ্রেপ্তারসহ বিচারের অপেক্ষায় ছিল। কিন্তু নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র জানায়,গোদাগাড়ী- তানোরের বিএনপির একটি প্রভাবশালী এবং সুবিধাবাদী অংশ অনৈতিক সুবিধা নিয়ে তাদেরকে নিরাপদে দায়িত্ব পালনের সুযোগ করে দিচ্ছে। আর এ সুযোগে তারা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ানোর ফাঁকে নিজ মতাদর্শের নেতাকর্মীদের সঙ্গে এসব জনপ্রতিনিধিরা নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করে চলছেন বলেও অভিযোগ উঠেছে। দায়িত্বশীল সূত্র আরো জানায়, এসব চেয়ারম্যান এবং মেম্বারেরা প্রতিটি এলাকায় নেতাকর্মীদের সংগঠিত করার কাজ করছেন গোপনে। তবে আ.লীগ সরকারের পতনের পরপরই জনরোষে গোদাগাড়ী- তানোরের আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি ওমর ফারুক চৌধুরী এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের বেশ কিছু নেতারা পালিয়ে যায়।